প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে বিরোধিতা করায় ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বরখাস্তের কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিতে মার্কিন বিচার বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল স্যালি ইয়েটস। তিনি বলেছিলেন, বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব হলো ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং সঠিক অবস্থান নেয়া। আর অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে তার দায়িত্ব হচ্ছে এ দু’টি বিষয় নিশ্চিত করা।
ওই নির্দেশ জানিয়ে এক চিঠিতে ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশটি আইনত বৈধ কিনা – এ ব্যাপারে তিনি ‘সন্তুষ্ট নন’।
“যতক্ষণ আমি ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আছি, বিচার বিভাগ ওই নির্বাহী আদেশের পক্ষে কোনো রকম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে না,” চিঠিতে বলেন স্যালি ইয়েটস।
স্যালির মন্তব্যের পরপরই টুইটারে অ্যাটর্নি জেনারেলের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ডেমোক্র্যাটরা প্রতিনিয়ত তার প্রশাসনের কর্মকাণ্ডকে স্থবির করছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নিয়োগ পাওয়া অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরোধিতা তারই অংশ।
ওই টুইটের প্রায় দু’ঘণ্টা পর অ্যাটর্নি জেনারেলকে অপসারণ করেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সুরক্ষার উদ্দেশ্যে জারি করা আইনি নির্দেশ বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি জানিয়ে স্যালি বিচার বিভাগের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
এ কারণে “প্রেসিডেন্ট স্যালি ইয়েটসকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে,” বলা হয় বিবৃতিতে।
ডানা বোয়েন্টে’কে নতুন ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে মনোনয়ন দেয়া হযেছে। এই পদে ট্রাম্পের চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রাপ্ত জেফ সেশনস্ এখনও সিনেটের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।