ফজলুর রহমান বাবু। টিভি ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা। কণ্ঠশিল্পী হিসেবেও রয়েছে শ্রোতাপ্রিয়তা। শুটিংয়ের ব্যস্ততা আর গান নিয়ে কথা হয় চ্যানেল আই অনলাইনের সাথে।
চ্যানেল আই অনলাইন : কেমন আছেন?
শুটিংয়ে ব্যস্ত। ভালো আছি। কাজ ছাড়া ভালো লাগে না।
চ্যানেল আই অনলাইন : কণ্ঠশিল্পী বাবুর খবর জানতে চাই।
আমি নিয়মিত কণ্ঠশিল্পী না। তারপরও গত বছর তিনটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছি। এ বছর এখন পর্যন্ত কোনো অ্যালবামের কাজে হাত দেইনি, নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। তবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে গান করেছি।
চ্যানেল আই অনলাইন : ইদানিং নতুন কোনো ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন?
এ বছর ৩টি ছবির জন্য গান করেছি। এর মধ্যে মিজানুর রহমান লাবুর ‘নুরু মিয়া ও তার বিউটি ড্রাইভার’, ইমদাদুল হক মিলনের স্ক্রিপ্টে নাদের চৌধুরীর পরিচালনায় ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ এবং বদরুল আনাম সৌদের পরিচালনায় ‘গহীনের বালুচর’। লাবুর ছবিটি আগামী মাসেই মুক্তি পেতে পারে। দ্বিতীয় ছবির কাজ শেষ, মুক্তি পেতে আরও কয়েক মাস লাগতে পারে। সৌদের ছবির কাজ প্রায় শেষ, তবে কবে মুক্তি পাবে তা এখনও নিশ্চিত না।
চ্যানেল আই অনলাইন : ছবিতে অভিনয়ের ব্যস্ততার কথা বলুন।
ইদানিং ৫টি ছবিতে অভিনয় করেছি। এর মধ্যে রয়েছে বদরুল আনাম সৌদের ‘গহীনের বালুচর’, তৌকীর আহমেদের ‘হালদা’, প্রসুন রহমানের ‘ঢাকা ড্রিম’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’সহ আরও একটি ছবি।
চ্যানেল আই অনলাইন : নাটকের ব্যস্ততা কেমন?
নাটকের ব্যস্তার কারণেই ছবিতে কাজ কম করছি। কিছু ধারাবাহিকের প্রচার চলছে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। এরমধ্যে গত সপ্তাহে একটি টিভি চ্যানেলে সাগর জাহানের পরিচালনায় ‘আমাদের হাটখোলা’ ধারাবাহিকের প্রচার শুরু হয়েছে। কয়েকটি নতুন ধারবাহিকের শুটিং করছি।
চ্যানেল আই অনলাইন : টিভি নাকি চলচ্চিত্র, কোন জায়গায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?
চলচ্চিত্রে অনেক সময় নিয়ে কাজ করা হয়। স্ক্রিপ্ট দেওয়া হয় শুটিংয়ে যাওয়ার আগে। যার জন্য নিজেকে সেই চরিত্রের জন্য প্রস্তুত করা যায়। এজন্য এখানে তুলনামূলক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। কিন্তু নাটকের সবকিছু এত কম সময়ের মধ্যে হয় যে, নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করা যায় না। অবশ্য এর পেছনে বাজেট স্বল্পতাসহ নানা কারণ আছে।
চ্যানেল আই অনলাইন : আমাদের নাটকের দর্শক এখন অন্য দেশের চ্যানেল বেশি দেখছে। সমস্যাটা আসলে কোথায়?
আমাদের দেশে ভালো নাটক যে হচ্ছে না তা নয়, তবে সংখ্যায় কম। বাজেট এত কম যে, ভালো মানের নাটক নির্মাণ করা যায় না। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, আমরা অভিনয়শিল্পীদের মেধাও পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারছি না। এর জন্য কম বাজেট যেমন দায়ী, তেমনি এর সঙ্গে নির্মাণ অদক্ষতাও জড়িত। এজন্য দর্শক বিদেশি সিরিয়াল দেখছে বেশি।