টলি অভিনেত্রী পল্লবী দে’র রহস্যজনক মৃত্যু মামলায় গ্রেপ্তার হলেন প্রয়াত নায়িকার প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তী। মঙ্গলবার অভিনেত্রীর সঙ্গীকে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সোমবার (১৬ মে) গড়ফা থানায় সাগ্নিকের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা সহ পল্লবীকে খুনের অভিযোগ এনে মামলা করে পরিবার। তার ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার হলেন সাগ্নিক। তার অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখেছে পুলিশ।
সোমবার পল্লবীর বাবা নীলু দে গড়ফা থানায় অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এই খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত সাগ্নিক ও তার বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সরকারের নাম উল্লেখ করেন।
প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিবারের অভিযোগ, পল্লবীর অনুপস্থিতিতে ঐন্দ্রিলাকে ঘরে আনতেন সাগ্নিক। তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেই মেয়েকে খুন করেছেন। পল্লবীর টাকায় বাড়ি-গাড়িও কিনেছেন সাগ্নিক। মেয়ের ১৫ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের নমিনিও ছিলেন। দুদিন ধরে সাগ্নিককে জেরা করে পুলিশ। চাওয়া হয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও। এ দিন সন্ধ্যায় সাগ্নিককে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
রবিবার সকালে নিজ ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় অভিনেত্রী পল্লবী দে’কে। ঘটনাস্থল থেকে কোনও রকম সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি বলে জানায় পুলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গড়ফার ফ্ল্যাটে দুজনেই ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যরাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিনেত্রী পল্লবী দে ও তার প্রেমিক সাগ্নিক এর তুমুল ঝগড়া হয়। কী কারণে ঝগড়া জানা যায়নি। পুলিশ তদন্ত করছে।
টেলি তারকা হিসেবে পল্লবীর খুব বেশি দিনের কাজ শুরু নয়। ‘আমি সিরাজের বেগম’ ধারাবাহিকে পল্লবীর বিপরীতে ছিলেন শন বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই জনপ্রিয়তার দৌড় শুরু। অভিনেত্রী সুপ্রিয়ার নাতি শনের সঙ্গে পল্লবীর রসায়ন জনপ্রিয় হয়েছিল দর্শকমহলে। টলিউডে কাঙ্ক্ষিত ‘ব্রেক’ পেয়ে জনপ্লাবন এগিয়ে আসছিল পল্লবীর দিকে। আসতে শুরু করেছিল গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাবও। আস্তে আস্তে টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠছিলেন পল্লবী।
‘কুঞ্জছায়া’ ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়, পরে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আসে তার কাছে। ‘মন মানে না’ ধারাবাহিকে তিনি আবার নায়িকার চরিত্র পান। জয় করছিলেন পর্দা। তাতেই কী দ্বন্দ্ব শুরু সাগ্নিকের সঙ্গে? গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুটিংও করেন তিনি! তারপরই কী এমন হল? শেষ ৪৮ ঘণ্টাই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এর সাইটে পোস্টও করেছেন পল্লবী!