তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে এই মামলা কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো.রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে নওশাবার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু।
আদেশের বিষয়ে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন: মামলাটি দায়ের করা হয়েছে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায়। কিন্তু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনটি বিলুপ্ত হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ হিসেবে কার্যককর হয়েছে ২০১৮ দালের ৫ অক্টোবর।’
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৬১ ধারার মতে তথ্য প্রযুক্তি আইনের কোনো মামলা বিচারাধীন থাকলে তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চলমান থাকবে। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকরের সময় এ মামলাটি বিচারাধীন না, ছিল তদন্তাধীন। তাই এসব যুক্তিতে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আবেদন করার পর আজ আদালত রুলসহ আদেশ দেন।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট ফেসবুক লাইভে গুজব সৃষ্টির অভিযোগে উত্তরা থেকে নওশাবা আহমেদকে আটক করে র্যাব।
এরপর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় নওশাবার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এবং এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় নওশাবা জামিনে মুক্তি পান।