‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি না দিলেই অত্যাচারিত হচ্ছে পশ্চিম বঙ্গের মানুষ। তারই প্রতিবাদে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি দেন অভিনেতা কৌশিক সেনসহ মোট ৪৯ জনের একটি দল। কিন্তু এরপরেই ফোনে হত্যার হুমকি পান কৌশিক। যে ঘটনা নিয়ে কলকাতার শোবিজ অঙ্গনে রীতিমত তোলপাড়!
জয় শ্রীরাম ধ্বনি না দিলেই নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন পশ্চিম বঙ্গের সাধারণ মানুষ। বর্তমান ক্ষমতাসিন দল বিজেপির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে শিগগির তা বন্ধে কার্যকর ভূমিকা নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক, অভিনেতা, পরিচালকসহ মোট ৪৯ জন। তাদের মধ্যেই আছে অভিনেতা কৌশিক সেনের নাম ও।
বুধবার ফোন করে কৌশিককে হত্যার হুমকি দেন অপরিচিত এক ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি জানান স্থানীয় প্রশাসনকে। হুমকিদাতার ফোনের নম্বরটিও থানায় জানিয়েছেন কৌশিক।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর অনুযায়ি, বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা কৌশিক জানিয়েছেন যে, বুধবার এক উড়ো ফোন আসে তার কাছে। অজানা নম্বর থেকে এক অচেনা ব্যক্তি সরাসরি হুমকি দিয়ে তাকে বলে, পরধর্ম অসহিষ্ণুতা, জয় শ্রীরাম ধ্বনি নিয়ে কোনও কথা বললে বা প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ নিয়ে মুখ খোলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে তাকে। মুখ না বন্ধ করলে প্রয়োজনে তাকে খুন করতেও হাত কাঁপবে না অচেনা ওই ব্যক্তির।
এবিষয়ে কলকাতা প্রশাসনের তরফ থেকে এক অফিসার জানিয়েছেন, অভিনেতা তাদের হস্তক্ষেপ চেয়ে সমস্তটাই জানিয়েছেন। পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখছেন তারা।
যদিও অভিনেতার দাবি, তিনি একটুও ভয় পাননি এই হুমকি ফোনে। যারা যারা চিঠিতে সই করেছেন তাদের সবাইকে জানিয়েছেন পুরো ঘটনা। ফোন নম্বরও পাঠিয়েছেন সবাইকে। প্রত্যেকে আলাদা ভাবে আশ্বস্ত করেছেন তাকে।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে অভিনেতা কৌশিক জানিয়েছিলেন যে, কোনো রাজনৈতিক দলের স্লোগান বা ধ্বনি জয় শ্রীরাম না হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। এতে রাজনীতির সঙ্গে ধর্মের গন্ধ মেশে। এরপর থেকেই নাকি জয় শ্রীরাম-এর অনুসারিরা তার পেছনে লেগেছেন।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক, অভিনেতা, পরিচালক সহ ৪৯ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি প্রতিবাদ চিঠি পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। জয় শ্রীরাম ধ্বনি না দিলে অত্যাচারিত হচ্ছেন রাজ্যের মানুষ এবং এই ধ্বনি ধর্ম-জাতি বিদ্বেষের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই অভিযোগ জানানো হয় ওই চিঠিতে। অবিলম্বে এই ধ্বনি বন্ধ না করলে খুব শিগগিরিই দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে। সেই কথা জানিয়ে ধ্বনি বন্ধের অনুরোধ জানান সবাই।