অভিনব কায়দায় শুল্ক জালিয়াতি উদঘাটনের তথ্য জানিয়েছেন কাস্টমস কমিশনার মইনুল খান। ব্যাংকের কাগজ জালিয়াতির মাধ্যমে আমদানি ও শুল্ক খালাস করার অপকৌশল উদঘাটন করার খবরটি তিনি শেয়ার করেছেন ফেসবুকে।
তিনি ফেসবুকে লিখেছেন,
“শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিটের (সিভিএ) একটি দল অভিনব পদ্ধতিতে ব্যাংকের কাগজ জালিয়াতির মাধ্যমে আমদানি ও শুল্ক খালাস করার অপকৌশল উদঘাটন করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি মোবাইল ফোনের আমদানিকারক ও সরবরাহকারী হিসেবে নিবন্ধিত।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় আমদানিকারক একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের গুলশান শাখায় তিনটি এলসি খোলেন। এগুলোর মাধ্যমে তিনি সেলুলার ফোন আমদানির কথা বলেন।
কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি কাস্টম হাউসের ৬টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ২ ধরনের পণ্য খালাস নিয়ে ব্যাপক হারে শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে।
এলসিসমুহের তিনটি বিল অব এন্ট্রিতে আমদানিকারক মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ঔষধের কাঁচামাল ‘শূন্য হার’ এ খালাস নিয়েছেন।
বাকি তিনটি বিল অব এন্ট্রিতে মোবাইল ফোন দেখালেও ভুয়া কাগজ দাখিল করে প্রকৃত মূল্য কম দেখিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় তিনি সবগুলোতেই মোবাইল ফোন আমদানি করেছিলেন এবং শুল্ক জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সরকারের রাজস্ব আত্মসাত করেছেন।
এখানে উল্লেখ্য ঔষধের কাঁচামালে ০% শুল্ক এবং মোবাইলে মোট ২৯.৫% শুল্ককর প্রযোজ্য।
মোবাইল ফোনের তিনটি এলসি মূল্য ১.৩৬ কোটি টাকা। মোবাইল ফোন হিসেবে জালিয়াতির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়েছে প্রায় ৩২.৫ লক্ষ টাকা।
প্রতিষ্ঠানের আরো অনেকগুলো বিল অব এন্ট্রিতে একই অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে।