লেখক অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের ব্যাপারে তথ্য পেতে যুক্তরাষ্ট্রের পুরস্কার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন: বাংলাদেশও অতীতে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ব্যাপারে তথ্য পেতে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিলো, লাদেনের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্র তাই করেছিলো। আমেরিকার পুরস্কার ঘোষণা ফলপ্রসূ হতে পারে।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন: চীন, রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারের সাথে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অথচ রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো চাপ দিচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের উপর আরও বেশি চাপ প্রয়োগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অমর একুশে বইমেলা থেকে বেরিয়ে আসার সময় বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক, ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয় সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইবুনাল।
কিন্তু অভিজিৎ রায়কে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বরখাস্ত মেজর জিয়া এবং আকরাম হোসেন এখনও পলাতক। তাদের ব্যাপারে তথ্য পেতে ইতোমধ্যে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।