২০১৮’র বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাই পর্বের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া, তবে অভাবনীয় কিছু করতে পারেনি তারা। পার্থে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৫-০ গোলের জয় পায় সকারুজরা। ফিফা র্যাঙ্কিয়ের ৬১ নম্বর দলের সঙ্গে র্যাঙ্কিংয়ের ১৭০ নম্বর দলের লড়াইয়ের এই ফল একরকম স্বাভাবিক। স্বাগতিকদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন টমাস রজিচ। এছাড়া ম্যাথিউ লেকি, অ্যারন ময়া ও নাথান বার্নস একটি করে গোল করেন।
মাঠের শক্তি বিচারে এগিয়ে থাকলেও ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের একের পর ইনজুরি কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেছিলো অস্ট্রেলিয়াকে। তবে অধিনায়কসহ চারজন খেলোয়াড়ের ইনজুরির প্রভাব চোখে পড়েনি মাঠে।
আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার কথা বললেও শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। একের পর এক আক্রমণে এমিলি-জাহিদদের চেপে ধরে অস্ট্রেলিয়া। চোখে পলক ফেলার ফুসরত পাননি গোলকিপার শহিদুল আলম। খেলার ৬ মিনিটে সকারুজদের এগিয়ে দেন ম্যাথিউ লেকি। দুই মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন টমাস রজিচ।
রক্ষণভাগ গুছিয়ে নেয়ার আগে আবারও বাংলাদেশের জালে বল। এবারও গোলদাতা রজিচ। ২৯ মিনিটে চতুর্থবারের মতো এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। হেড থেকে গোল করেন নাথান বার্নস।
অস্ট্রেলিয়ানরা কতটা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে পরিসংখ্যানেই সেটা বোঝা যায়। প্রথমার্ধে ৭৯ শতাংশ বল দখলের পাশপাশি বাংলাদেশের গোলে ১৫টি শট নেয় তারা। বিপরীতে বাংলাদেশ শট নেয় একটি মাত্র একটি।
প্রথমার্ধে চার গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের কিছুটা গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিলো বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের প্রথম ১৫ মিনিট আটকেও রেখেছিলো। তবে ৬১ মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণ দেয়াল ভাঙেন অ্যারন ময়া। প্রথমার্ধে চার গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে এই এক গোলই হজম করতে হয় বাংলাদেশকে। পাঁচবার জালে বল জড়ালেও অন্তত আরো ৫ থেকে ছয়নি অসাধারণ সেভ করেছেন গোলকিপার শহীদুল।
বাছাই পর্বে এরআগে কিরগিজস্থানের সঙ্গে ৩-১ গোলে হারে বাংলাদেশ। আর তাজিকিস্তানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে তারা। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে মালয়েশিয়ার সঙ্গেও ড্র করেছিলো লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।