দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে ইরান সরকারের বিরুদ্ধে তিন দিন ধরে চলা বিক্ষোভ সমাবেশকে অবৈধ উল্লেখ করে তাতে যোগ না দিতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।
শনিবারও তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বিক্ষোভ করে নাগরিকরা। পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এই সমাবেশ নাগরিকদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করবে উল্লেখ করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দলরেজা রহমান-ফাজিল এতে অন্যদের যোগ না দিতে নিষেধ করেন। সেসময় হাজার মানুষ সরকারবিরোধী র্যালি করছিলেন বলে জানায় বিবিসি।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের ৮ বছর পূর্তিকে সামনে রেখেই মূলত এসব বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়েছে। যদিও সরকার এই বিক্ষোভকে বিপ্লবী চেতনাবিরোধী এবং বহিঃশক্তির প্রভাব বলে অভিযোগ করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পটও ইরান সরকারকে সতর্ক করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববাসী ইরান সরকারের ভূমিকার দিকে তাকিয়ে রয়েছেবলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে সুযোগসন্ধানী এবং প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছেন।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকেই তেহরানে বিক্ষোভ শুরু করেন ইরানীরা। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে রাশত, হামাদান , ইসফাহানসহ বেশ কয়েকটি শহরে। বিক্ষোভে অংশ নেয় হাজারো মানুষ।
কয়েকটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও হয়। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ছোড়ে। বিক্ষোভকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে।
তেহরানের গভর্নর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এমন সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কোনো অনুমতি নেই এবং নিরাপত্তাবাহিনী এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এরইমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতারের রের নিন্দা জানিয়ে বিশ্বকে ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।