দেশে অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল)-এর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় আড়াই কোটি মিনিট কল আসছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) যৌথ অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ হাজার ৯৮৭টি অবৈধ সিম এবং ৩৭ লাখ টাকার অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। এসব সিমের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের।
সোমবার বিটিআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভিওআইপি বিষয়ে এসব তথ্য জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক।
তিনি বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল কল টার্মিনেশন রেট বাড়লে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বাড়ে। আমাদের হিসাব বলছে প্রতিদিন দেশে আড়াই কোটি মিনিট ভিআইওআপির মাধ্যমে কল আদান-প্রদান হয়। তবে এই হিসাবটা কম বেশি হতে পারে। এসব অবৈধ ভিওআইপি সিমের বেশিরভাগই কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের নামে কেনা। বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, অভিযানকালে মোবাইল অপারেট টেলিটকের ৫ হাজার ৭৫টি, এয়ারটেল ও রবির ৩ হাজার ৮৯৭ টি, গ্রামীণফোনের ১ হাজার ৪১৪টি, বাংলালিংকের ৪২৬টি, পিএসটিএন অপারেটর র্যাংকসটেলে ১২০টি এবং ওয়াইম্যাক্সের অপারেটর বাংলালায়নের ১৫টি সিম জব্দ করা হয়।
এছাড়াও অভিযানে ৭২টি জিএসএম গেটওয়ে ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক মালামাল জব্দ করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার এবং ৬টি মামলা হয়েছে।
বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী অবৈধ ভিওআইপি কাজে ব্যবহারের জন্য মোবাইল অপারেটরের সিম পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. জহুরুল হক বলেন,‘অবৈধ ভিওআইপি পরিচালনার জন্য অপারেটরগুলোর সিম পাওয়া গেলে ওই সংশ্লিষ্ট অপারেটরগুলোকে আগেও জরিমানা করেছে বিটিআরসি। এবারও করবে। আমি মনে করি তাদের সিম বাজারজাতকরণ ও সিম তদারকির কাজে সুষ্ঠু মনিটরিং ব্যবস্থা কার্যকর নেই।’