চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অবৈধ অভিবাসী তাড়াতে লাগবে ৫শ’ বিলিয়ন ডলার

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অজুহাত দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিধান রেখে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। কিন্তু এই পরিকল্পনা অর্থনৈতিক উন্নয়নের বদলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৫শ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি নীতি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান অ্যামেরিকান অ্যাকশন ফোরাম (এএএফ)-এর একটি হিসাবে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

নীতি প্রণয়ন, পরিবর্তন, আইনি লড়াই, আইন প্রয়োগ, অবৈধদের আটক এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো – সব মিলিয়ে মোট ৫শ’ বিলিয়নের মতো অর্থ খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় ২০ বছরের মতো সময়ে পুরো অর্থটি ব্যয় হবে বলে ধারণা করছে এএএফ।

তীব্র সমালোচনা, এমনকি নিজ দেশের অঙ্গরাজ্য সরকার ও বিচার বিভাগের কাছ থেকে একের পর এক বাধা ও প্রতিবাদের মুখোমুখি হওয়ার পরও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবারই কাগজবিহীন অভিবাসীদের বের করে দেয়ার প্রতি দৃঢ়তা প্রকাশ করেছেন।

বর্তমানে আনুমানিক ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসী যথাযথ কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। এতগুলো মানুষকে দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়ায় যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে সেটাই এখন বিবেচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দু’বছর আগে এএএফের করা হিসেব অনুসারে, অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়ানোর পেছনে ১২৫ বিলিয়ন থেকে ৩৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হবে। কিন্তু সম্প্রতি আবার সংস্থাটি তার হিসেব সংশোধন করেছে। নতুন হিসেবে বলা হয়েছে, ওই অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর পর আরও সাড়ে ৩শ’ বিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড বা প্রায় ৪৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাগবে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থায়, যেন ফেরত পাঠানো অভিবাসীরা আবার যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না পারে।

এই আনুমানিক হিসেবে শুধু মোটাদাগে হওয়া সম্ভাব্য ব্যয়গুলোকেই আমলে আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি, নির্মাণসহ বিভিন্ন সেবামূলক ক্ষেত্র এসব কাগজবিহীন অভিবাসীদের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। বিকল্প না ভেবেই এদের সরিয়ে দেয়া হলে আমেরিকার অর্থনীতিতে তা যে বিরূপ প্রভাব ফেলবে সেটি এখানে হিসেব করা হয়নি।