সাদামাটাভাবেই ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন ভারতের এক সময় সেরা ফাস্ট বোলার জহির খান। প্রায় বছর বেশি সময় ধরে টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। দেশের হয়ে ওয়ানডে খেলেননি গত প্রায় দুই বছর। সামনে দলে ফিরতে পারেন তাকে নিয়ে এমন আলোচনাও নেই ভারতে। তাই অনেকটা অন্তরাল থেকেই বিদায় নিলেন জহির।
বেশ কিছুদিন ধরেই ইনজুরিতে ভুগছিলেন জহির। সেই কারণেই বিদায় বলে দিতে হলো বাহাতি এ পেসারকে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও আইপিএলের সামনের মৌসুম খেলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে জহির বলেন, ‘‘সামনের মৌসুমের জন্য অনুশীলনে থাকায় আমি বুঝতে পারছি এই কাঁধ আর দিনে ১৮ ওভারের মতো বোলিংয়ের ভার বইতে পারবে না। তখনই বুঝতে পারলাই এটাই সময় (অবসরের)’।
২০০০ সাল কেনিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে অভিষেক হয় জহির খানের। সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে ৬১০ উইকেটের এই মালিক ভারতীদের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তার আগে রয়েছেন কেবল স্পিনার অনিল কুম্বলে (৯৫৬), হরভাজন সিং (৭০৬) ও সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব (৬৮৭)। তবে ৯২ টেস্টে ৩১১ উইকেট নিয়ে কপিল দেবের (৪৩৪) পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি জহির।
২০০ ওয়ানডেতে ২৮২ উইকেট নেওয়া জহির ২০১১ বিশ্বকাপে ছিলেন দলের মূল ভরসা। ২১টি উইকেট নিয়ে সেবার ভারততে বিশ্বকাপ জেতাতে রেখেছেন অসামান্য অবদান।
জহিরের অবসরে বিৃতিতে দিয়েছেন বিসিসিআই সাধারণ সম্পাদক অনুরাগ ঠাকুর। জহিরের সুন্দর ভবিষ্যত কামনা করেছেন তিনি।