অনেক জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে নোবেল ভাষণ দিলেন মার্কিন গীতিকবি বব ডিলান। তবে সুইডেনের সে নোবেল কমিটির সভায় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। অডিওতে রেকর্ড করা বক্তৃতা পাঠান সেখানে। এদিকে মানবতার কবি বব ডিলানের এ বক্তৃতাকে ‘অনন্য ও দুর্দান্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন সুইডিশ একাডেমির সেক্রেটারি সারা দানিউস। এর মধ্য দিয়ে বব ডিলানের ‘নোবেল সংক্রান্ত নাটকের’ অবসান হলো।
নিজের নোবেল প্রাপ্তিকে অনেকটা ‘অবিশ্বাস্য’ বলেই মনে করেন বব। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক লেখকই নিজের অজান্তেই নোবেল জয়ের স্বপ্ন দেখেন। আর এটা এমনই গোপন স্বপ্ন যা হয়তো লেখক নিজেই জানতে পারেন না।’
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আর নানা সংস্কৃতির মানুষের মনে তার গানগুলো ঠাই পেয়েছে বলে শ্রোতাদের কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ বব।
নোবেল বক্তৃতায় বব তার জীবনের অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেন খ্যাতিমান মার্কিন শিল্পী বাডি হলির নাম, ‘আমাকে যদি শুরু করতে হয় তবে তা বাডি হলিকে দিয়েই শুরু করা উচিৎ। আমি যা হতে চাই, তিনি আসলে তাই।’
কৈশোর কিংবা যৌবনে বাডি হলির গান শোনার জন্য নাকি শত মাইল পথও পাড়ি দিয়েছিলেন বব।
তবে সাহিত্যে ববের অনুপ্রেরণা হারম্যান মেলভিলের ‘মবি ডিক’, হোমারের ‘ওডিসি’ আর জার্মান সাহিত্যিক এরিক মারিয়ার ‘অল কোয়াইট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’। এই তিন বইয়ের ভেতরেই নাকি আছে অনন্য এক জীবনবোধ।
২০১৬ সালের অক্টোবরে সাহিত্যে নোবেল জয়ী হিসেবে বব ডিলানের নাম ঘোষণা করে সুইডিশ একাডেমি। কিন্তু ডিসেম্বরে সে নোবেল গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। ধারণা করা হচ্ছিল তিনি হয়তো পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু তার তিন মাসেরও বেশি সময় পর নোবেল গ্রহণে সম্মত হন তিনি। আর পুরস্কারের শর্ত অনুযায়ী এ বছরের ১০ জুনের মধ্যে তার নোবেল বক্তৃতা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। বিবিসি।