কালা কানুনের সময়ে খুব রাগী হয়ে ওঠেছিলাম: শামীম আখতার
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে যে ক’জন চলচ্চিত্রকার চলচ্চিত্র নির্মাণ ও স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন সংগঠক ও নির্মাতা শামীম আখতার
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে যে ক’জন চলচ্চিত্রকার চলচ্চিত্র নির্মাণ ও স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন সংগঠক ও নির্মাতা শামীম আখতার। তানভীর মোকাম্মেল, মানজারেহাসীন মুরাদ, তারেক মাসুদ, মোরশেদুল ইসলামদের মতো বাংলা চলচ্চিত্রের অগ্রযাত্রার সৈনিক হিসেবে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন তিনিও। যাদের প্রায় সবার কাজের বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’। শামীম আখতারও তার ব্যতিক্রম নন। তার নির্মিত কাহিনিচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্রেও তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আধিক্য। নির্মাণ করেছেন শিলালিপি, ইতিহাসকন্যা ও রিনা ব্রাউনের মতো আলোচিত চলচ্চিত্র। রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যেও চলচ্চিত্র আন্দোলন ও নির্মাণে ছেদ পড়েনি কখনো। বয়স হয়েছে, চলচ্চিত্রের প্রতি তবু এখনো আছে সত্তর দশকের সেই তারুণ্যের প্যাশন! সামনে মুক্তিযুদ্ধকেই প্রসঙ্গ করে বীজ বুনছেন নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণের। আর এসমস্ত নিয়েই স্মৃতিচারণ, ঘাত-প্রতিঘাত ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা চ্যানেল আই অনলাইনের কাছে বলেছেন তিনি:
প্রথমেই আপনার চলচ্চিত্র যাত্রার শুরুর দিকের কথা জানতে চাই। কী মনে হয়- কবে কীভাবে শুরু?
সামাজিক, পারিবারিকভাবেই তো একটা প্রভাব থাকেই। আমাদের ছোট বেলায় বিনোদন বলতে ছিল সিনেমাই। ৬০-এর দশকে বড় হওয়া আমার, তখন সিনেমা দেখার কালচার আমাকে প্রভাবিত করে। আমাদের বাসায় ‘চিত্রালী’ রাখা হতো। স্কুল থেকে সবাইকে লাইন করিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো সিনেমা দেখতে। আমার সাড়ে সাত বছর বয়সের একটা ঘটনা মনে পড়ে, আমিতো তৎকালীন ইংরেজি স্কুলে পড়েছিলাম। তো বাংলা পড়তে-লিখতে ভালো জানতাম না। তো তখন বাবা খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন যে উনার মেয়ে বাংলা ঠিকভাবে জানে না এতো হতেই পারে না, বাবার পরিচিত রায় বাবুর হাতে পড়লো আমাকে বাংলা শেখানোর দায়িত্ব। মনে আছে একবার ম্যাটিনি শো দেখে এসে রায় বাবুর কথাতেই ‘অপুর সংসার’ নিয়ে এলেবেলে হাতে স্লেটে লিখেছিলাম, সেটাকেই এখন বলা যেতে পারে আমার প্রথম কোন চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখা!
মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং পরবর্তী সময় নিয়ে বলুন। বিশেষত ১৯৭৫ পূর্ববর্তী সময় আর ৭৫ এর পরবর্তী সময়ে চলচ্চিত্র চর্চার জায়গাটা কেমন ছিল বাংলাদেশে?
মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ক্লাস টেনে পড়ি। তখন বলিউডি চলচ্চিত্র আসা একেবারে বন্ধ ছিল, ইউরোপীয়ান, রাশিয়ান চলচ্চিত্র দেখতাম আমরা। এরপর আমাদের বিজয় এলো, অগোছালো, বিধ্বস্ত সবাই তবু নতুন আশা, নতুন দেশ, নতুনভাবে নতুন কাজ করতে চাওয়ার যে ইচ্ছে সবার মধ্যে সে যে কী আনন্দের ছিল! কিন্তু ১৯৭৫… ভাবা যায় না! এখনো ভাবলে কেমন যে অনুভূতি হয় এক! সমস্ত, সবকিছু আমাদের এক নিমিষে যেন ওলোট-পালট হয়ে গেল! আমরা তখন চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনে ছবি দেখি নিয়মিত। মুরাদ(মানজারেহাসীন মুরাদ), তানভীর (তানভীর মোকাম্মেল), তারেক(তারেক মাসুদ), ওয়াহিদুল হক, সাদেক খান, মুস্তাফা মনোয়ার, বাদল রহমান, শহীদ কাদরী, শামসুল হক আরও অনেক অনেক নাম বলা যায় যা হুট করে মনে আসছে না, সবাই আসতেন ফিল্ম দেখতে।
যুদ্ধের পর সেই যে প্রাপ্তির বোধ ৭৫ এ মুহূর্তে হারিয়ে গেল…?
আমার মনে আছে ১৯৭৬ এ ‘সচিত্র সন্ধানী’র জন্য বেলাল চৌধুরী ছেলেমেয়ে খুঁজছিলেন যারা ইংলিশ-বাংলা দু’ভাষাতেই পারদর্শী। তো আমি সেখানে যোগ দিলাম, রিভিউ লিখতাম। সে সূত্রে আমার শামসুর রহমান, মাহমুদুল হক, শহীদ কাদরীদের সাথে যোগাযোগ হল। সেসময় খসরু ভাইয়ের (মুহম্মদ খসরু) সান্নিধ্যও পেয়েছিলাম। উনি আমাদের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ-এর সাথে যুক্ত করে নিলেন। চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন তখন জোরালোভাবে চলছে।
কিন্তু ৭৭ এর মধ্যে আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাণ তো বটেই, চলচ্চিত্র দেখার মধ্যেও নিষেধাজ্ঞা জারি হল, কালা কানুন যাকে বলে! পলিটিক্যাল সিনেমা তো দেখানোই যাবে না, কেউ কোথাও দেখতেও পারবে না। কেটেছেটে ফিল্ম দেখানো শুরু হল। মুরাদদের (মানজারেহাসীন মুরাদ) উপর এনএসআই, পুলিশের নজরদারী শুরু হল। আমরা তো তখন রাশিয়ান কালচারাল সেন্টারে প্রায় লুকিয়ে ফিল্ম দেখতে যেতাম, রিভিউ লেখা প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হল। এই শব্দ বলা যাবে না, ঐ শব্দ লেখা যাবে না। তখন আমরা ছোট ছোট স্ক্রিপ্ট লেখা শুরু করলাম। যেখানে কোন না কোনভাবে রাজনৈতিক দিকগুলোকে তুলে আনা যায়। আমরা গ্রামে গিয়ে নাটক করতাম, আমি– তারেক (তারেক মাসুদ)। আমাদের তখন একটাই লক্ষ্য যে সাংস্কৃতিক বিপ্লব হতে হবে। কালা কানুনের সময়ে খুব রাগী হয়ে ওঠেছিলাম।
তারেক মাসুদ আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল। তখন ‘সোনার বেড়ি’, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন-এর সেই যে মেয়েদের শৃঙ্ক্ষল হল সোনার অলঙ্কার সেই ভাবনা নিয়ে ছিল চলচ্চিত্রটা। সেটা VHS এ নির্মিত হয়েছিল।
কোথায় যে আছে সেটা এখন আর জানিও না।
১৯৮৪-তে তানভীর চলচ্চিত্র নির্মাণ করবে প্রস্তুতি নিল। ‘হুলিয়া’ নির্মাণ কাজ শুরু হল, আমরা লোকেশন খুঁজছি, এটা ওটা নিয়ে ভাবছি।
তখনকার কথা যদি বলি– চলচ্চিত্র শিক্ষার বিষয়টা কেমন ছিল? মানে বোঝাপড়া বা শেখার একটা বিষয় হিসেবে চলচ্চিত্রকে দেখতে শুরু করেন কীভাবে?
আমরা খসরু ভাইর অফিসে (বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটির অফিস) পাটি বিছিয়ে বসে চলচ্চিত্র নিয়ে আড্ডা দিতাম। আমি, মুরাদ, খসরু ভাই, আনোয়ার ভাই (আনোয়ার হোসেন), ডলি ভাবী (ডলি আনোয়ার) , আসাদুজ্জামান নূর সবাই তখন খুব আড্ডা দিতাম।। তখন ক্যামেরা, চলচ্চিত্রের ভাষা বোঝার চেষ্টা করছি আমরা। আমাদের কাছে আলমগীর কবীর বিশেষ প্রিয় একজন ছিলেন। চলচ্চিত্রের যে একটা পলিটিক্যাল দৃষ্টিভঙ্গী থাকে এ নিয়ে তিনি কী দারুণ আলোচনা করতেন। উনার সান্নিধ্য আমাদের সিনেমাকে দেখার, বোঝার চোখ পালটে দিচ্ছিলো। ১৯৭৯ এর দিকে হবে (সম্ভবত), সতীশ বাহাদুর এলেন পুনে থেকে। পনের দিনের একটা কোর্স ছিল, গদার, ফেলিনি, বুনুয়েল-এর চলচ্চিত্রকে বোঝা-দেখা। প্রামাণ্য চলচ্চিত্রকে নতুনভাবে জানা।
ফিল্ম আর্কাইভ শুরুর পরে আলমগীর কবীর প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ক্লাস নেওয়া শুরু করেন। আমি চাকরীর জন্য তখন মাত্র দু’দিন ক্লাস করে গ্রামে চলে যাই, যেতে হয়। কিন্তু ঢাকা এলেই ছুটে যেতাম ফিল্ম আর্কাইভে, সে যে কী দুর্দান্ত সব দিন গেছে! ১৯৮৯ এ আলমগীর কবীর মারা গেলেন। সে কী ভীষণ ধাক্কা খেলাম আমরা সবাই!
আপনি আর নির্মাতা তারেক মাসুদ যৌথভাবে ‘সে’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছিলেন, এর পেছনের গল্পটা জানতে চাই।
১০ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এটি। ১৯৯১ সালের দিকে, তখন ঢাকায় চলচ্চিত্র উৎসব চলছে। তো বেবী ইসলাম, আবুল খায়ের, সালাহউদ্দীন জাকী উনারা সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছেন। এর মধ্যে হঠাৎ আমাকে তারেক (তারেক মাসুদ) ধরে নিয়ে গেল উনাদের সামনে, উনারা নাকি কিছুক্ষণ আগেই কথা বলছিলেন যে মেয়েদের মধ্যে কেউ কাজ করছে কী না চলচ্চিত্র অঙ্গনে। তারেক তাদেরকে বলছিল আমার ট্রাঙ্ক ভর্তি স্ক্রিপ্ট তাও কাজ শুরু করছি না। সেই আমার এ চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করা তারেকের সাথে। প্রধান চরিত্রে আরেকজন অভিনেত্রী ছিলেন, কিন্তু মেয়েটা শুটিং এর সময় এতো নার্ভাস হয়ে গেল যে কিছুতেই আর অভিনয় করতে পারলো না। অন্যের বাড়িতে শুট করছি, দুই দিনের ভেতর শুট শেষ করতে হবে। অন্য একজনকে যে খুঁজবো সে সময় ও তখন আর নেই। পরে বাধ্য হয়ে ঐ চরিত্রে আমিই অভিনয় করেছিলাম। ১৯৯৩ এ যখন ছবিটি মুক্তি পেল, বেশ সাড়া পেয়েছিলাম।
এরপর ‘গ্রহণকাল’, ‘শিলালিপি’, ‘ইতিহাস কন্যা’ ও ‘রিনা ব্রাউন’ নির্মাণ করেন। ‘ইতিহাস কন্যা’ তো ডিজিট্যাল চলচ্চিত্র ছিল। এর সেন্সরশীপ এবং হলে মুক্তির ব্যাপারে কিছু জটিলতার কথা শুনেছি…
‘গ্রহণকাল’ আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রযোজনা ছিল। নারী ইস্যু নিয়ে, কী করে রাষ্ট্র নারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় এ সংক্রান্ত। ১৯৯৪ এ মুক্তি পায় ছবিটি। এটি করতে গিয়ে আমি যুদ্ধশিশু বিষয়টার সাথে নিজেকে যুক্ত করতে পারি, এ নিয়ে ভাবতে শুরু করি। সেলিনা পারভীনকে বোঝার শুরুও তখন।
এরপর ১৯৯৮ এ ‘ইতিহাস কন্যা’র কাজ করি। যুদ্ধশিশুদের নিয়ে করা চলচ্চিত্রটি। কিন্তু তখন সেন্সরবোর্ডে জমাই দেওয়া গেল না কারণ তারা তখন ডিজিটাল ছবি জমাই নেন না। তো কী আর করা, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হওয়া সত্ত্বেও হলে প্রদর্শনীরও তখন আর সুযোগ হল না। পরবর্তীতে অনেকে এই ডিজিটাল ফরমেটেই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন যারা তখন এ চলচ্চিত্রকে ডিজিটাল ছবি হিসেবে মেনে নেননি। সে যাই হোক।
পরবর্তীতে বিটিভিতে এটা প্রচার করার জন্য নেওয়া হয়। ‘ইতিহাসকন্যা’ সম্পাদনা করেছিলেন ফৌজিয়া খান, মাত্র পুনেতে পড়াশোনা শেষ করে দেশে এসেছিলেন তখন তিনি। মাকসুদুল বারী ছিলেন সিনেমাটোগ্রাফার।
এরপর ‘শিলালিপি’ করি ২০০১-২০০২ এর মধ্যে। সেলিনা পারভীন-কে নিয়ে এ চলচ্চিত্র। উনার পরিবার থেকে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিলো, তবে সুমনের (সেলিনা পারভীন-এর পুত্র) খুব আগ্রহ ছিল এ চলচ্চিত্র নিয়ে।
আর ‘রিনা ব্রাউন’ নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। এটা একটা টেলিফিল্ম ছিল মূলত, পরে চলচ্চিত্রের চিন্তা করি।
স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নিয়ে যে আন্দোলন তা নিয়ে জানতে চাই। আজও কি স্বাধীন আদতেও ‘স্বাধীন ধারার’ চলচ্চিত্র?
মুক্ত ধারার চলচ্চিত্র এ নামে এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল। মূলত মোরশেদুল ইসলাম, আলমগীর কবীর, আবু সাইয়িদ, তারেক শাহরিয়ারসহ অনেকেই এটার সাথে যুক্ত ছিলেন। এর মাধ্যমে শর্ট ফিল্ম ফোরামেরও সূচনা হল। স্বাধীনভাবে যারা কাজ করছে, এসব ছেলেমেয়েরা তারা যেন একসাথে কাজ করতে পারে সেটাকে কেন্দ্র করেই এটা গড়ে উঠে।
একটা বিষয়, এফডিসিতে যতদিন সালাহউদ্দীন জাকী ছিলেন উনি কিন্তু চেষ্টা করেছিলেন কী করে স্বাধীনভাবে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সাহায্য করা যায়। এরপর তো সরকারী অনুদান প্রথার সুযোগও এলো। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও যেতে শুরু করলো আমাদের চলচ্চিত্র।
একটা চলচ্চিত্রের কথা হঠাৎ মনে পড়ছে, ‘স্বাধীনতা’ চলচ্চিত্রটি যখন বানালো ইয়াসমীন কবীর, ক্যামেরা জার্ক করছে, সমস্তকিছুর পরেও কি দারুণ! বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম এটা আমার মনে হয়।
আর পুরোপুরি স্বাধীন আমরা আর হতে পারলাম কই! এখনো আমাদের সেন্সর বোর্ডের অধীনে থাকতে হয়। তানভীর মোকাম্মেলকে ‘নদীর নাম মধুমতী’র জন্য জবাবদিহী করতে হয়েছিল, আদালতে যেতে হয়েছিল। আজও যদি পলিটিক্যাল চলচ্চিত্র নির্মাণ করার ক্ষেত্রে সেন্সর বোর্ডে চলচ্চিত্রকে আটকে যেতে হয় তাহলে আমরা আর কতদূর এগোলাম? হ্যাঁ সার্টিফিকেট বোর্ড থাকতে পারে, চলচ্চিত্রের গ্রেডিং সিস্টেম চালু হতে পারে যে ১৮+ বা ১৩+ চলচ্চিত্র এটি। আর সেন্সর বোর্ড যারা পরিচালনা করেন তারা একটা ছবিকে দর্শকের সামনে আনার অন্তরায় হবেন কেন? এ ক্ষমতা তাদের কেন থাকবে? দর্শক বিচার করুক, ভালো না লাগলে দর্শক চলচ্চিত্র রিজেক্ট করুক, সে সুযোগ দর্শকেরও তো থাকা উচিত। যে চলচ্চিত্রই একজন স্বাধীন নির্মাতা নির্মাণ করবেন তা হলে দেখানোর অধিকার এই স্বাধীন রাষ্ট্রে নির্মাতার থাকা উচিৎ।
পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা কী?
তিনটি চলচ্চিত্রের চিন্তা-ভাবনা মাথায় আছে। পরের কাহিনিচিত্র ভাবছি একাত্তর নিয়েই। দেখা যাক, প্রযোজক-পরিবেশক নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি আপাতত।