বাংলালিংক ও টেলিটক প্রতিষ্ঠান দুইটির নিজস্ব টেলিকম অবকাঠামো যৌথভাবে ব্যবহারের সম্ভাবনা ও সুযোগ বিশ্লেষণ করতে একটি সমঝোতা চুক্তি সই করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস ও টেলিটক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন এই চুক্তি সই করেন।
এই চুক্তির আওতায়, অপারেটর দুইটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং নীতিমালা, টাওয়ার শেয়ারিং নীতিমালা ও অন্যান্য সকল প্রাসঙ্গিক আইন ও নীতিমালা মেনে নিজ নিজ টেলিকম অবকাঠামো ও সুবিধা শেয়ারের সুযোগ ও এর প্রযুক্তিগত সম্ভাব্যতা বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “গ্রাহকদের জন্য সেবার মান আরও উন্নত করতে টেলিকম অপারেটরদেরকে সম্মিলিত উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এই ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে টেলিকম খাতে আমূল পরিবর্তন এনে খাতটিকে অগ্রসর করতে পারে। আমি আশা করছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে টেলিকম খাতের অবদানের ক্ষেত্রে এটি একটি বিশেষ দৃষ্টান্ত হবে।”
টেলিটক-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘বাংলালিংক-এর সাথে এই সমঝোতা চুক্তি সই করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এর মাধ্যমে যৌথভাবে অবকাঠামোর সর্বোচ্চ ব্যবহারের একটি সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। গ্রাহকদেরকে এই উদ্যোগের মাধ্যমে সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’
বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, ‘টেলিকম খাতের অবকাঠামো আরও শক্তিশালী করতে সবসময় অন্যান্য টেলিকম স্টেকহোল্ডারদের সাথে একসাথে কাজ করার চেষ্টা করে যাবে বাংলালিংক। এর মাধ্যমে আরও উন্নত সেবা ও সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এই লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে আসার জন্য আমি টেলিটককে ধন্যবাদ।আশা করি এই যৌথ উদ্যোগটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুফল নিয়ে আসবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, বাংলালিংক-এর হেড অফ গভর্মেন্ট অ্যান্ড এলইএ রিলেশন্স ওয়াহেদ উল হক খন্দকার ও প্রতিষ্ঠান দুইটির অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।