অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়া কোনো জনপদ তার পূর্ণতা পায় না। তাই ঢাকার কাছের জনপদ কেরানীগঞ্জের আজকের উন্নতির পেছনে রয়েছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। কেরানীগঞ্জ আজ আধাগ্রাম আধানগর এক জনপদ হিসেবে গড়ে ওঠার মূল কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
গত এক দশকে কেরানীগঞ্জের অবকাঠামোগত উন্নয়নে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। দুর্গন্ধময় পিছিয়ে পড়া জনপদ হিসেবে আর কেরানীগঞ্জ পরিচিত নয়। বরং ধীরপায়ে এগিয়ে চলছে মেগাসিটির পথে। ঢেলে সাজানো হয়েছে কেরানীগঞ্জের ড্রেনেজ ব্যবস্থা। রাস্তার চারপাশ আলোকিত রাখতে সোলার ও এলইডি বাতি স্থাপনের কাজ শেষ করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জের দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুতে টোল ফ্রি করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নে তৈরি করা হয়েছে পাকা রাস্তা। শিক্ষার্থীদের জন্য নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। প্রতিটি স্কুলে নেয়া হয়েছে ডিজিটাল পাঠদান কার্যক্রম। শিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তৈরি করা হচ্ছে আগামী প্রজন্মের উপযোগি করে। কেরানীগঞ্জের স্কুলগুলোতে নতুন করে ৪০টি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
এসব প্রভূত পরিবর্তন এসেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য বিদ্যুত ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর হাত ধরে। তার উদ্যেগে সম্প্রসারিত হচ্ছে আরো অবকাঠামোগত উন্নয়ন। উপজেলা ও জেলা পরিষদের উদ্যোগে শেষ করা হয়েছে রাস্তা, পুল ও কালভার্ট নিমার্ণ কার্যক্রম। জন সাধারণের জন্য করা হয়েছে আধুনিক ফুটপাথ। শিশুদের বিনোদনের কথা কথা মাথায় রেখে নিমার্ণ করা হয়েছে বিভিন্ন শিশু পার্ক। ঢাকা মাওয়া মহাসড়ককে ৮ লেনে উন্নতকরণ কাজ চলছে। তার ধারা এসে লেগেছে সাধারণ মানুষের জীবনধারায়।
বেড়েছে স্থানীয় জমির দাম। জনি টাওয়ার থেকে দোহার পযর্ন্ত ৩০ ফুট প্রশস্ত রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। ব্যবসার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়েছে পানগাঁও বন্দর। এর ফলে স্থানীয় ব্যবসা ও পণ্য পরিবহণে সৃষ্টি হয়েছে নতুন দিগন্ত। দৃশ্যমান উন্নয়নের পাশাপাশি নেয়া হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা। ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণে পানগাঁও বন্দরকে সাজানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে নতুনরূপে। কেরানীগঞ্জের প্রতিটি রাস্তায় চলছে সৌন্দর্যবর্ধণের কাজ। আন্ত:জেলা ট্রাক ও বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের পাশাপাশি নেয়া হয়েছে আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থার উদ্যোগ। বৃষ্টিপাতে পানির প্রবাহ সামলে রাখতে নেয়া হয়েছে ডাইমেনশন ক্যালকুলেশন সুয়ারেজ ব্যবস্থা। ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের কারণে বাড়ছে কেরাণীগঞ্জের জনসংখ্যা। কেরানীগঞ্জের বাইরে থেকে আসা লোকদের স্থায়ী আবাসনে উদ্বুদ্ধ করতে নেয়া হয়েছে নতুন পরিকল্পনা। নসরুল হামিদ বিপুর উদ্যোগে হেমায়েতপুর থেকে কোন্ডা ইউনিয়ন পযর্ন্ত বাইপাস কাযক্রম অনেকটাই এগিয়ে গেছে।
ঢাকার উপকণ্ঠের জনপদ হয়েও কেরানীগঞ্জ ছিলো আধুনিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। গত এক দশকে উন্নত হয়েছে কেরানীগঞ্জের অবকাঠামোসহ নানাস্তরে। এ জনপদ আজ শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। এই উন্নয়নের আলো ধরে রেখে অনেকটা পাড়ি দিতে প্রস্তুত কেরানীগঞ্জ।