করোনা মহামারী ও ফ্রন্টলাইনার পুলিশের অবদান এবং সাধারণ জনগণের সচেতন করার বিষয়কে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘পাশে আছি’। নাট্যকার অপূর্ণ রুবেলের রচনায় এটি নির্মাণ করেছেন তরুণ নির্মাতা বোরহান খান।
এতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী এলিনা শাম্মী। তার সাথে আরও আছেন বেশ কজন পুলিশ সদস্য। বাংলাদেশ পুলিশের প্রচেষ্টা ও মহামারী সময়ের বাস্তবতা তুলে ধরে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতেই এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র!
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই স্বল্পদৈর্ঘ্যটি নির্মাণে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমান। এ ব্যাপারে পরিচালক বোরহান বলেন, সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং হয়েছে চলচ্চিত্রটির। সম্পাদনাও শেষ দিকে। শেষ হলেই পুলিশের বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রচার করা হবে বলে জানা যায়।
আশাবাদ জানিয়ে নির্মাতা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের এ কাজটি আশা করি জনগণকে সচেতন হতে ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে উৎসাহিত করবে।
গল্প প্রসঙ্গে অপূর্ণ রুবেল বলেন, আমাদের পুলিশ সদস্যরা জনগণকে বারবার সচেতন হতে বলছেন। লকডাউনে ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ করছেন। তবুও অপ্রয়োজনে আমরা নিয়মিত বের হচ্ছি। শুধু বেরই হচ্ছি না, সচেতন বা অসেচতনভাবে মাস্কটাও পরছি না। এখন অবধি করোনা থেকে বাঁচার কার্যকরী সমাধান মাস্ক। এটা না পরলে কি ক্ষতি হতে পারে, কতোটা ভুগতে হতে পারে তাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই চলচ্চিত্রে।
‘জানোয়ার’ খ্যাত ওয়েব ফিল্মের অভিনেত্রী এলিনা শাম্মী বলেন, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি আসলে একটি সামাজিক কাজ। তাই কাজটি খুব আগ্রহের সাথে করেছি। আর এ কাজটি করতে গিয়ে আমি প্রথমবারের মত গাড়ি চালানো শিখেছি।
চলচ্চিত্রে দায়িত্বশীল পুলিশ অফিসার চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজধানীর শেরে বাংলা থানার ইনস্পেক্টর আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে সুরক্ষিত ও বিপদমুক্ত রাখতে আমরা পুলিশ বাহিনি সদা তৎপর। কিন্তু একটু এদিক সেদিক হলে দিন শেষে সমস্ত দ্বায়ভার আমাদেরই নিতে হয়। তবুও চাই এ দেশের জনগণ সুস্থ থাকুক, নিরাপদ থাকুক, ভাল থাকুক। তাই তাদের জন্যই এ কাজে অংশ নেওয়া।