চট্টগ্রাম থেকে: মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা সংবাদ সম্মেলনে আসা মানেই দীর্ঘ সেশন। শুরুতে কিছুটা দুষ্টুমি, খুনসুটি। আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতেই পুরোপুরি সিরিয়াস। প্রশ্নের ঝাঁপি খুলতে থাকেন সংবাদকর্মীরা। ওয়ানডে অধিনায়ক সব প্রশ্নের সবিস্তার উত্তর দিতে চেষ্টা করেন বলেই সংবাদ সম্মেলন লম্বা হতে হতে ২০ মিনিটেও গড়ায় কখনও কখনও।
টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ক্ষেত্রে এমনটা হয় খুব কম সময়ই। শুরু হতে হতেই যেন শেষ! কিছু প্রশ্নে উত্তর না দিয়ে এড়িয়েও যান বিভিন্ন সময়ে। ব্যতিক্রম দেখা গেল চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ের পর।
ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট দশেক পরই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে উল্টো দিকের মিডিয়াসেন্টার মুখে হাঁটা শুরু করলেন সাকিব। খোশ মেজাজে মাঠ পাড়ি দিয়ে যখন গন্তব্যের খুব কাছাকাছি এলেন; গ্যালারিতে তখন কয়েকজন দর্শক দাঁড়িয়ে সাকিবকে অভিনন্দন জানাতে।
গ্রিলের বেষ্টনী গজ পরিমাণ দূরত্ব। এত কাছে দেখে গলা ফাটালেন এক দর্শকরা, ‘সাকিব ভাই, খুব ভালো খেলেছেন, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০০ উইকেট পাওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন। সামনে আরও ভালো করবেন।’ মাথা ঝাঁকিয়ে সাগরিকার ওই তরুণের অভিবানের জবাবও দেন সাকিব।
২০০ উইকেট শিকার করায় প্রশ্নোত্তরের শুরুতে সংবাদকর্মীদের কাছ থেকেও অভিনন্দন পেলেন সাকিব। জবাবে হাসতে হাসতে সাকিব বললেন, ‘বাংলাদেশ জিতেছে অভিনন্দন তো আগে দলকে দেয়া উচিত।’
বিরতি কাটিয়ে দলে ফেরা সাকিবের কাছে ধেয়ে আসতে লাগল একের পর এক প্রশ্ন। প্রশ্নের সামনে হুক, পুল, কাট কিছুই করলেন না। জবাব দিলেন সময় নিয়ে। সংবাদ সম্মেলন যেন শেষই হতে চায় না! সাকিবেরও ক্লান্তি নেই। বেশ হাসিখুশি।
চট্টগ্রাম টেস্ট, স্পিন আক্রমণ, মাঠের দর্শক, ওপেনিংয়ে ব্যর্থতা, নানা বিষয় উঠে এল সংবাদ সম্মেলনে। ২০ মিনিট ধরে প্রশ্নের জবাবে সাকিব যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটকেই বিশ্লেষণ করে ফেললেন।
‘মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়’ -উক্তিটি সাকিবের বেলায় হয়তো খুব বেশি খাটে। সাকিবের এই বদলে যাওয়া ইতিবাচক। মুগ্ধতার রেণু ছড়ানো সাকিবের চোখ ঢাকায়। চোট কাটিয়ে তার দলে ফেরা দেশের জন্য কতটা স্বস্তির সেটি মূর্ত করেছেন ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে, নেতৃত্বে, কথায়ও।
২০০ উইকেট পাওয়ার অনুভূতি
সাকিব: ২০০ উইকেট পাওয়ার পরও অনুভূতিটা ভালো হতো না, যদি না জিততাম। যেহেতু জিতেছি এখন অনুভূতিটা অনেক ভালো।
ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট
সাকিব: ম্যাচে টার্নিং পয়েন্ট অনেকগুলো। এমন ম্যাচে ছোট ছোট জিনিসগুলোই অনেক বড় হয়ে যায়। এটা ওদের পক্ষেও আছে, আমাদের পক্ষেও আছে। ছোট ছোট কিছু জুটি আছে, যা আমাদের অনেক সহায়তা করেছে। আর বড় দিক থেকে বলতে গেলে আমাদের প্রথম ইনিংসের রানটা বড় ছিল। যদিও আমার ধারনা দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা আরেকটু ভালো করতে পারতাম। কিন্তু এধরনের উইকেটে এমন হতেই পারে। সেটা সম্পর্কে সবাই অবগত ছিলাম। আমরা জানতাম ম্যাচটা এমন ধরণেরই হবে, বড় স্কোরের হবে না। প্রথম দিন উইকেটটা দেখার পর।
মিরপুর টেস্টের আগে আত্মবিশ্বাস
সাকিব: স্বাভাবিক, আত্মবিশ্বাস তো থাকবেই। হতাশ হয়ে ঢাকায় যাওয়ার উপায় নেই। চাইলেও পারবো না(হাসি)। পুরো দলই ভালো খেলেছে, গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হয় কি, ম্যাচ জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অন্যরকম থাকে। আশা করি ওটা ধরে রাখতে পারবো।
টেস্ট শুরুর আগে বলছিলেন পুরোপুরি ফিট নন আপনি। এখন?
সাকিব: বেশ কয়েকটা দিন সময় আছে(দ্বিতীয় টেস্টের আগে)। যে কারণে ফিটনেসের কিছু কাজ করতে পারবো। প্রথম টেস্ট খেলার আগে তিনটা সেশন ব্যাট করেছি। দুই মাস পরে এসে এটা খুবই সামান্য, কোনো ফিটনেসের কাজ না করে। আমার জন্য কঠিন ছিল। আমি ভালোমত ম্যাচটা শেষ করেছি। আর নিশ্চিত আরেকটু ভালো অবস্থায় আমি পরের ম্যাচটা খেলতে পারবো।
আমাদের স্পিন আক্রমণ আগের চেয়ে শক্তিশালী কিনা?
সাকিব: আমাদের যে কয়জন স্পিনার আছে, সবাই খুব মানসম্পন্ন স্পিনার। বিশেষ করে যদি উইকেটে একটু সহায়তা থাকে। উইকেটে একদম সাহায্য না থাকলে আমাদের বল তেমন কার্যকর মনে হবে না। একটু যদি উইকেটে সাহায্য পাই, তাহলে আমরা অনেক ভালো বোলার। তবে আমাদের একটা জিনিসে উন্নতি করা উচিত, সেটা হল আমাদের গেইম সেন্সটা ভালো থাকা উচিত। কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে সেটা। হয়তো হতে পারে একজন খুব আক্রমণাত্মক বোলার। ওইদিন হয়তো তার উইকেট নাও আসতে পারে। হয়তো অন্য সাইড থেকে আরেকজন উইকেট পাচ্ছে। যে কারণে অন্যপ্রান্ত থেকে আরেকজন রান না দিয়ে বল করে যাবে।
দলের জন্য করা, বোলিং পার্টনারের জন্য করা, এই সেন্সটা যদি আমরা একটু ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারি, তাহলে মনে করি বোলিং আক্রমণে স্পিনাররা আরও ভালো করতে পারবে। আমরা যারা আছি স্পিনাররা, সবাই খুব আক্রমণাত্মক বোলার। আমাদের জন্য রক্ষণাত্মক বল করাটাও অনেকসময় কঠিন হয়ে যায়। আমরা সবসময় অ্যাটাকিং অপশনেই যাই। আমাদের বুঝতে হবে, জানতে হবে কখন দুই-তিনটা ওভার রান না দিয়ে বল করে যাবো, একটা সাইডে যেন আরেকজন অ্যাটাক করতে পারে। এই জিনিসগুলো জানাটাই আমাদের জন্য একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বেশি স্পিনার নিয়ে খেলা
সাকিব: আমাদের চারটা স্পেশালিস্ট স্পিনার থাকলেও ব্যাটসম্যান কম হচ্ছে না। এটা একটা বড় প্লাস পয়েন্ট। চারজনই (সাকিব-তাইজুল-মিরাজ-নাঈম) আমাদের খুবই আক্রমণাত্মক বোলার। একদিক থেকে খুব ভালো, আবার একটু সমস্যারও। সবসময় অ্যাটাকই করতে থাকে, এই পাশ থেকে একটু ভালো বল হচ্ছে, আরেকদিক থেকে একটু ডিফেন্সিভ বল করবে, সেটা ওরা আর করতে পারে না। দুই পাশ থেকেই উইকেট নিতে যায়। অনেক সময় রানটা হয়ে যায়। এটা বোঝাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জন্য খুবই ভালো যে এমন চারটা স্পিনার আছে যারা যেকোনো টাইমে এসে উইকেট নিয়ে পারে।
অভিষিক্ত নাঈম
সাকিব: ডেব্যু ম্যাচ হিসেবে আমার মনে হয় নাঈম অসাধারণ বোলিং করেছে। আজকে থেকে গতকাল উইকেটে সহায়তা কিছুটা কম ছিল, সেখানে ও এত ভালো বোলিং করেছে। আমি মনে করি ওর খুবই ভালো ভবিষ্যৎ আছে। ওকে তাড়াতাড়ি অনেককিছু শিখতে হতে পারে এবং খেলার সাথে সাথে ও সেগুলো শিখবে। সবথেকে ভালো জিনিস মনে হয়েছে, ও অনেক সাহসী।
চোট থেকে ফিরে ব্যাটিং, বোলিং, ক্যাচিং
সাকিব: ড্রেসিংরুমে অনেক নার্ভাস ছিলাম। তবে যখন মাঠে এসেছি তখন যতটা ভেবেছি ততটা নার্ভাস লাগেনি। আর ফার্স্ট বল পুরাই আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। খুব লাকি ছিলাম। আর চাপ সবথেকে বেশি ছিল।
অনেকটা দৌড়ে নবম উইকেট জুটি ভাঙার ক্যাচটা
সাকিব: ওদের পার্টনারশিপ হওয়া শুরু হয়েছিল। সবাই দেখি হালকা হালকা প্যানিক হওয়া শুরু করছিল। আমার কাছে মনে হয় আমি অনেক ঠাণ্ডা ছিলাম। ওই সময় বল যখন মাথার উপরে ঘুরছিল, তখন ওই জিনিসগুলো মাথায় আসছিল। মনে হচ্ছিলো যদি মিস হয় তখন বাকিদের আরও প্যানিক করবে। তবে সব ঠিকঠাক মতো শেষ হয়েছে এটাই আসলে সবথেকে বড় পাওয়া।
উইকেট, কিউরেটর
সাকিব: দেখুন, আমাদের হোমে যে ধরনের উইকেট হওয়ার উচিত কিংবা দরকার, সেই ধরনের উইকেটই তারা বানানোর চেষ্টা করেছে। উইকেট যেমনই হোক আমরা যদি ভালো জায়গায় বল না করি, তাহলে কিছুই কাজে আসে না। এগুলো আসলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল।
ঢাকার উইকেট নিয়ে প্রত্যাশা
সাকিব: উইকেট তৈরি করবেন কিউরেটর। আমরা কী প্রত্যাশা করি তেমন গুরুত্বপূর্ণ না। এগুলো নিয়ে বেশি কথাও বলা উচিত না। সেটা আমাদের খুবই ভেতরের কথা, আর তা প্রাইভেট থাকলে আমি খুশি হবো।
উইকেট কি আনপ্লেয়েবল ছিল?
সাকিব: প্রতিটা উইকেটই আমার কাছে মনে হয় ভিন্ন। আর আনপ্লেয়েবল বলবো না, কারণ তা না হলে নবম উইকেটে ওদের পার্টনারশিপ ৫০-৬০ রানের (৬৩) হতো না। আনপ্লেয়েবল অবশ্যই ছিল না।
যখন ইয়ান বোথামের মতো কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে যান, তখন ব্যক্তিগত অর্জন আপনাকে নাড়া দেয় কিনা
সাকিব: নাহ, আসলে! আমি জানি না, হয়তো লাগে, কিন্তু আমি বুঝতে পারি না আসলে। যখন ম্যাচটা জিতে যাই, তখন খুশিটা একটু বেশি লাগে। কিন্তু ম্যাচ না জিতলে, টিম যদি ভালো রেজাল্ট না করে, তখন এই অর্জনগুলো ওইভাবে প্রকাশ করা যায় না। এখন এসব নিয়ে প্রশ্ন হচ্ছে, তখন হারের ব্যাখ্যা নিয়েই প্রশ্ন আসতো। অনুভূতিগুলো আসলে সম্বন্ধযুক্ত একটার সাথে আরেকটা। যখন দল ভালো করার সাথে ব্যক্তিগত অর্জন আসে, তখন ভালো লাগে। কিন্তু উল্টোটা হলে তখন খুব একটা মিনিং থাকে না। এই কারণেই আমি বলি যতবেশি দল জিততে থাকবে, আমি যদি অবদান রাখতে পারি, তাহলে এই অর্জনগুলো এমনিতেই আমার সামনে চলে আসবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রিভিউ ছিল না। রিপ্লেতে দেখা গেছে শেষ ব্যাটসম্যান আউট হয়নি। স্পিরিট অব ক্রিকেটের চিন্তা থেকে ওকে ডেকে কি ব্যাটিং করানো যেত না?
সাকিব: আমি ডাকতাম না। কারণ, আমাদের উইকেটরক্ষক খুব আত্মবিশ্বাসী ছিল, ওটা আউট। স্বাভাবিকভাবেই আমি তাকে(নিজের দলের খেলোয়াড়) বিশ্বাস করব, ওদের ব্যাটসম্যানকে বিশ্বাস না করে।
তাইজুল-মুমিনুল শুধু টেস্ট খেলছে। টেস্টে আলাদা দল নিয়ে ভাবার সময় এসেছে কিনা?
সাকিব: আপনি যেকোনো দলের দিকে তাকান, কোর গ্রুপ কিন্তু একই থাকে। তিন-চার আসা যাওয়া করলে সেটা খুব বড় পার্থক্য তৈরি করে না। কোর প্লেয়াররা এক থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি কিছু নতুন খেলোয়াড়কে টি-টুয়েন্টিতে, একটু অভিজ্ঞদের টেস্টে খেলাই, আমার মনে হয় না সেটা খারাপ অপশন হবে। এভাবে কিছু নতুন প্লেয়ারও পাওয়া সম্ভব।
গত কিছুদিন ধরে আমরা কিছু কিছু চেষ্টা করছি, কিছু নতুন খেলোয়াড়কে টি-টুয়েন্টিতে পরীক্ষা করে দেখেছি। যেহেতু টি-টুয়েন্টিতে পরীক্ষা করার সুযোগ আছে, আর সে জায়গায় পরীক্ষা করে দেখছি কাদেরকে আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য ক্যাপেবল মনে করি। ওয়ানডেতে আমাদের স্ট্যাবল একটা দল আছে। টেস্ট আর টি-টুয়েন্টিতে আমাদের উন্নতির অনেক জায়গা আছে। আগেও যেটা বললাম, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার দরকার আছে। একইসঙ্গে স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনারও দরকার আছে। এই দুই ফরম্যাটে যদি আমরা অনেক উন্নতি করতে চাই।
তাইজুলের ধারাবাহিকতা
সাকিব: ওর সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে, নিজের বোলিং নিয়ে ও অসম্ভব রকম পরিশ্রম করে। প্রথম ইনিংসে একটা উইকেট পেয়েছে, ওর বোলিংয়ের জন্য আমরা ড্রেসিংরুমে ওর অনেক প্রশংসা করেছি। সবাই বলেছি যে, প্রথম ইনিংসে ও-ই আমাদের সেরা বোলার ছিল। যদিও উইকেট পেয়েছে একটা। অনেক সময় হয় এমন যে, একটা বোলার খুব ভালো বোলিং করছে কিন্তু উইকেট পাচ্ছে না। অন্যদিকে একটা বোলারের একটা-দুইটা উইকেট টেকিং বলে হয়ে গেছে, সেটাতেই উইকেট পেয়ে গেছে।
আমরা ওই জিনিসগুলো জানি, আমরা ড্রেসিংরুমে ছোট ছোট ব্যাপারের প্রশংসা করি। আমি নিশ্চিত এটা আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট আর খেলোয়াড়রা খুব ভালো করে বুঝতে পারে। ও অসাধারণ ভালো বোলিং করছে। আমি চাইব , সামনে একটা টেস্ট আছে সেটাতেও যেন ও এভাবেই বল করতে পারে। শুধু এক ইনিংস না, দুই ইনিংসেই যেন পাঁচটা করে উইকেট পায়।
ওপেনিংয়ে টানা ব্যর্থতা
সাকিব: প্রতিদিন ১০ রানে ২ উইকেট থাকা তো খুব দুঃখজনক বিষয়। প্রতিদিনই মিডলঅর্ডার-লোয়ার মিডলঅর্ডার গিয়ে রান করবে তার নিশ্চয়তা নেই। যদি এমন(শুরুতে উইকেট) না হয় তাহলে একটু স্বস্তির জায়গা পাওয়া যায়। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য বিপদের। যদি তামিম দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ফিট হয়ে যায়, আশা করি ও ফিট হবে তাহলে কিছুটা হলেও আমাদের ভরসার জায়গা তৈরি হবে।
টেস্টে দর্শক না থাকা
সাকিব: আমি এমসিসির ক্রিকেট কমিটির সদস্য হিসেবে কিছু ইন্টারেস্টিং আর্টিকেল দেখেছি। আমি মনে করি, টেস্টে দর্শক না হওয়ার একটা বড় কারণ খুবই কম প্রচার হওয়া। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে যে প্রচার-প্রচারণা হয়, টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে তার এক চতুর্থাংশও হয় না। আর দর্শক মাঠে আনতে প্রচার প্রচারণা খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করি আমি।
এটা শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে না, সারা পৃথিবীতেই এমন হচ্ছে। ভারতের মতো জায়গায় টেস্টে গ্যালারি পূর্ণ হয় না। আমার মনে হয়, এটা এমন জায়গা যা নিয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা কাজ করতে পারে। আর্থিক দিক একটা ব্যাপার। একটা সুবিধা আপনার থাকতে হবে, সেটা না থাকলে আপনি কেনো এটা করবেন। আর পাঁচ দিন একজন মানুষের টেস্ট দেখাও কষ্টকর। পৃথিবী কত রকমের চেষ্টা হচ্ছে, চেষ্টা যে হচ্ছে না এমন না। আমার মনে হয়, এই ব্যাপারে আমাদের অনেকবেশি প্রচার-প্রচারণার জায়গা আছে।