প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার পরামর্শ নিয়ে আমরা এমনভাবে কাজ করতে চাই; যেন সারাবিশ্বের না হোক অন্তত এই অঞ্চলের ক্ষুধা দূর করতে পারি। শনিবার দক্ষিণ এশীয় খাদ্য অধিকার সম্মেলনের উদ্বোধন করে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন হয়, তাতে সবার খাবার সরবরাহ করা সম্ভব। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। তার কারণ হলো নীতিমালার অভাব, জনসংখ্যাধিক্য, জলবায়ূর পরিবর্তনসহ আরো নানান সমস্যা।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই বিশ্বের কোথাও কেউ যেন ক্ষুধার্থ না থাকে। এ জন্য আমাদের একার প্রচেষ্টাতে সফলতা আসতে নাও পারে। এ জন্য দরকার সামষ্টিক প্রচেষ্টা।
সাম্প্রতিক সময়ে নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ভূমিকম্প আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা দিয়েছে। নিজেদের খাদ্যনিরাপত্তা থাকলে আমরা দুর্যোগের সময় সবার পাশে দাঁড়াতে পারি। নেপালে আমরা ১০ হাজার মেট্রিকটন খাবার পাঠিয়েছি, পানি পাঠিয়েছি।
সার্ক ফুড ব্যাংক প্রতিষ্ঠার বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর পাশাপাশি আমরা সার্ক পিস ব্যাংক করার পদক্ষেপও নিচ্ছি। দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা মিটিয়ে আমরা খাদ্যসংরক্ষণের চেষ্টা করছি। এমন কিছু গুদাম তৈরি করছি যেগুলো ২-৩ বছর খাদ্য সংরক্ষণ করতে পারবে।
দেশে শিক্ষার হার এগোচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শতভাগ শিশু এখন স্কুলে যাচ্ছে। আগে মায়েরা নিজেই তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠাতো না, বলতো কাজ করলে সন্তান কিছু আয় করতে পারে। এখন আমি মায়ের হাতে সেই টাকা তুলে দিচ্ছি। তারা সন্তানকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন।
‘দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার যে পরিকল্পনা আমরা করেছি তাতে নিশ্চয়ই সক্ষম হবো। এ জন্য সবার পরামর্শ প্রয়োজন’, বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
তিনি আরো বলেন, আপনারা এমন কিছু সুপারিশ দিবেন যা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। খাদ্য অপচয়ের বিলাসিতা আমরা বন্ধ করতে চাই। মতভিন্নতা থাকতেই পারে, কিন্তু তারপরও কোনো কথাই যেন হিংসাত্মক না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। খাদ্য বহনে যেন সবসময় নিরাপদ হয়, তাও নজর রাখতে হবে।