বাংলাদেশ ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন বলতে এখনও তাকেই বোঝায়। যদিও মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ওয়ানডেটা ছাড়া অন্য ফরম্যাটে খেলেন না। টেস্ট খেলার স্মৃতিতে তো ধুলোই জমেছে! বাংলাদেশ দল তাই যখন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রস্তুতিতে মগ্ন, মাশরাফী তখন হাই-পারফরম্যান্স ইউনিটের সঙ্গে।
চট্টগ্রামে সাতদিনের ক্যাম্প শেষে ঢাকায় ফিরে আবারও ব্যাট-বলের কঠোর অনুশীলন শুরু করেছেন মুশফিক-তামিমরা। অজিদের মোকাবেলায় চোখ রেখে টেস্ট ইউনিট যখন মিরপুরের ইনডোরে ঘাম ঝরাচ্ছে; ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী সেসময় একাডেমি মাঠে পাল্লা দিয়ে রানিং করলেন সাইফউদ্দিন, মারুফ, সাদমান, রাহীদের সঙ্গে। রোববার সকালে বেশ কয়েক ওভার বোলিংও করেছেন ম্যাশ।
মাশরাফী টেস্ট খেলেন না ২০০৯ সাল থেকে। আর কখনও টেস্ট খেলা হবে কিনা; জানেন না সেটিও। টি-টুয়েন্টি থেকেও নিয়েছেন অবসর। সেপ্টেম্বরে সাউথ আফ্রিকায় পুর্ণাঙ্গ সিরিজে তিনটি ওয়ানডে আছে বাংলাদেশের। যার জন্য এখন থেকেই সিরিয়াস দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সফল এই অধিনায়ক।
এতটা গুরুত্ব দিয়ে অনুশীলনের কারণ জানালেন মাশরাফী নিজেই, ‘বেশ কয়েকদিন অনুশীলন করতে পারিনি। সেটা পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করছি।’ এবিপি মিডিয়ার আমন্ত্রণে সেরা বাঙালি খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিতে কলকাতায় গিয়ে পাঁচদিন ছিলেন তিনি। বোঝাচ্ছেন সেই সময়টার কথাই। বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটাররা তখন ফিটনেস অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন।
দীর্ঘসময় রানিংয়ের পর এইচপি ক্রিকেটারদের সঙ্গে গোল হয়ে বসে মাশরাফী আড্ডার আসরে মাতিয়ে রাখলেন সবাইকে। তার কথা শুনে হাসতে হাসতে দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা রাহী, সাইফউদ্দিন, আজমীরদের। কঠোর অনুশীলনের পাশাপাশি একাডেমি মাঠে আড্ডায় এভাবেই কাটছে টেস্ট না খেলা মাশরাফীর সময়।