অনুশীলনে খেলোয়াড়দের আরো বেশি বসে রাখতে জরিমানার নিয়ম চালু করেছেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। বার্সেলোনার সাবেক কোচের এই নিয়ম সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে গোল ডটকম।
বার্সেলোনা এবং বায়ার্ন মিউনিখে থাকতে বেশ কিছু হতাশাজনক ফলাফলের সম্মুখীন হয়েছিলেন গার্দিওলা। টানা দ্বিতীয়বার লিগ শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ২০১০ সালে ন্যু ক্যাম্পে যেমন ২-০ গোলে হেরেছিলেন হারকিউলিকসের কাছে এবং ২০১১ সালে প্রথম চার ম্যাচের দুটিতেও হেরেছিলেন। আর বায়ার্নে ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মাঠে নেমেও প্রথম চার ম্যাচের দুটিতে হেরেছিলেন।
এবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা ধরে রাখার মিশনে গার্দিওলা। তবে সেই মিশনের শুরুটা শতভাগ হয়নি তার। প্রথম চার ম্যাচের একটিতে ড্র করেছে তার দল। গত বছর ১০০ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেও এবার সেই নিশ্চয়তা দিতে পারেননি তিনি।
গত এপ্রিলে প্রীতি ম্যাচে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুলের হেরেছে ম্যানসিটি। তাই বড় ম্যাচে আরো মনোযোগ চান গার্দিওলা। সেই কথা মাথায় রেখেই অনুশীলনে খেলোয়াড়দের আরো বেশি সিরিয়াস হতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন।
জরিমানার সঙ্গে আরো কিছু নিয়ম করেছেন গার্দিওলা। যেমন অ্যানালিসিস সেশন ও টিম মিটিংয়ের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন। অ্যাকাডেমিতে থাকা অবস্থায় ড্রেসিংরুমের বাইরেও মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না খেলোয়াড়রা। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরো কম সময় দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিষ্যদের।
আগে বিভিন্ন অনিয়মের জন্য খেলোয়াড়দের বেতন অনুযায়ী জরিমানা করা হত। কিন্তু নতুন আইনে সেটা তুলে দিয়েছেন গার্দিওলা। তবে এখন কোন অনিয়মের জন্য কি পরিমাণ জরিমানা হবে সেটা জানাতে পারেনি গোল ডটকম।
খেলোয়াড়দের জরিমানার ব্যাপারে গার্দিওলার এবারই প্রথম নয়। বার্সেলোনায় থাকতেও এমনটা করেছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে কাতালান ‘বি’ দলের কোচ থাকার সময় দেরি করে অনুশীলনে আসা, নিজের দোষে লাল কার্ড দেখা এবং অনুশীলনে কম পরিশ্রম করার কারণে কয়েকজন খেলোয়াড়কে জরিমানা করেছিলেন গার্দিওলা।