চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

অনাস্থা ভোটের হুমকির মুখে বার্সা সভাপতি

দিনদিন পরিস্থিতি ঘোলা হয়ে উঠছে বার্সেলোনা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তেমেউয়ের জন্য। অধিনায়ক লিওনেল মেসি তাকে আর সভাপতি দেখতে চান না, আবার নিজ পরিচালনা পর্ষদেও তাকে নিয়ে আছে অসন্তোষ। যা পুঁজি করে বার্তেমেউয়ের বিপক্ষে অনাস্থা ভোটের দাবি তুলেছে ক্লাবেরই একদল সদস্য!

বার্সার বিভিন্ন সমর্থক গোষ্ঠীর জোট সংগঠন কোর ব্লউগ্রানা মূলত অনাস্থা ভোটের দাবি জানিয়েছে। বিশেষ করে ক্লাবের বর্তমান অবস্থার পেছনে বার্তেমেউকে দায়ী করে এবং পরিচালনা সদস্যদের সরে যাওয়ার দাবি তুলেছে জোটটি।

নিজেদের চাওয়াকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে ক্লাবের অন্তত ১৭ হাজার নিবন্ধনকৃত সদস্যের স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে, যা বার্সার মোট নিবন্ধনকৃত সদস্যের ১৫ শতাংশ।

যদি সেটা সম্ভব হয়ে যায়, তবে ক্লাবের সংবিধান অনুযায়ী একটি গণভোটের আয়োজন করতে পারবে সংগঠনটি। যদি ১ লাখ ৫৪ হাজার নিবন্ধনকৃত সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ বার্তেমেউয়ের ও তার বোর্ড সদস্যের প্রতি অনাস্থা দেখান, তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে নতুন নির্বাচন দেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বার্তেমেউয়ের সরে আসা ছাড়া বিকল্প নেই বলে মনে করে কোর ব্লউগ্রানা। স্বাক্ষর গ্রহণের কাজটা কঠিন হলেও ক্লাবের মঙ্গলের জন্য তা জরুরি বলেই মত জোটের সদস্য জোসেপ মারিয়া ক্রেদামেসের, ‘আমরা জানি কিছু কিছু বিষয় আমাদের বিপক্ষে। ম্যাচে গিয়ে যে স্বাক্ষর গ্রহণ করবো সেটা সম্ভব নয়। কারণ মাঠে দর্শক আসা নিষেধ। আমরা এক মহামারীর মধ্যে আছি।’

‘আমরা সত্যিই অনাস্থা ভোটের বিষয়ে সামনে এগোতে চাই। আমরা ঘৃণা ছাড়া এই মুহূর্তে আর কিছু ভাবতে পারছি না। পরিচালকরা যা করছে তা অগ্রহণযোগ্য।’

আগামী বছর অবশ্য এমনিতেই সভাপতি নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না বার্তেমেউ। নিজে না দাঁড়ালেও পছন্দের প্রার্থীকে সভাপতি পদে রেখে যেতে চাইবেন তিনি। আর নিজ থেকে সভাপতির পদ ছেড়ে দেবেন না বলেও জানিয়েছেন। বার্তেমেউয়ের পছন্দের কেউ সভাপতি হলে ক্লাবের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি বাড়াবেন না বলে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন লিওনেল মেসিও।