ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য অর্জনে অনলাইনে যাচ্ছে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের ক্ষুদ্র ও উদ্যোক্তা ঋণ কার্যক্রম। এ উপলক্ষে সম্প্রতি পিডিবিএফ’র কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে চার জেলার ১৪০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্যাব তুলে দিয়েছেন উপ-সচিব জনাব মো: আনোয়ার হোসেন।
ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-সচিব জনাব মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। যেকোন নাগরিক সেবা অনলাইনের আওতায় আসলে কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।’
পিডিবিএফ এর ঋণ বিতরণকারী এবং ঋণ গ্রহীতা-উভয় পক্ষই অনলাইন কার্যক্রমের সুফল অর্জনে সক্ষম হবেন। পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ হেলাল উদ্দীন আহমেদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘পিডিবিএফ-এর মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সারাদিনে তাদের ট্যাবে সংগৃহীত তথ্য দিন শেষে ওয়াই-ফাই সংযুক্ত উপজেলা কার্যালয়ের সফটওয়ারে আপলোড করবেন।’পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ড. মোঃ মনারুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৮ সালের মধ্যে দেশের ২০টি জেলার ১০০ উপজেলার দুই লাখ পাঁচ হাজার ২৫২টি গ্রামীণ পরিবারের প্রায় দশ লক্ষ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচন, ১০ লক্ষ সুফলভোগী জনগোষ্ঠীর আত্ম-কর্মস্থান সৃষ্টি, আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ড ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে পিডিবিএফ। দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে দেশকে মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করতে পর্যায়ক্রমে সকল কার্যালয়ের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমকে অনলাইন নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
তিনি আরও বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনকে টেকসই করার জন্য সুফলভোগী সদস্যদের কে পুঁজি গঠনের দিকে বিশেষভবে লক্ষ্য রাখতে হবে। আগামীতে যেন তাদেরকে কারো কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করতে না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে এ প্রকল্পের উপ-পরিচালক জনাব মো: শাহেদুর রহমান খান বলেন, যদি আমরা সুফলভোগী সদস্যদের কে সুরক্ষা প্রদান করতে চাই তবে ঋণ বিতরণের সময় সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা করে সঠিক ব্যক্তির হাতে ঋণ পৌঁছে দিতে হবে। এজন্য সঠিক সময়ে এবং প্রয়োজন অনুসারে সুফলভোগী সদস্যদেরকে ঋণ প্রদান এর উপর গুরুত্ব প্রদান করেন।
পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতায় কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, পাবনা ও মেহেরপুর জেলার মোট ২০ টি উপজেলায় প্রান্তিক পর্যায়ে মোট এক হাজার ২শ’ ৫২ টি সমিতি গঠন করে এর ২৭ হাজার ৮শ’ ৫৯ জন সদস্যের মাঝে ১১৩ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা এবং এক হাজার ৫শ’ ২১ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার মাঝে ৪০ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।এছাড়াও তারা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মস্থান সৃষ্টি, আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ড ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। ঋণ সহায়তা ও পুঁজি গঠন ছাড়াও নারী উন্নয়ন এবং সুফলভোগী সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়ন ও আয় বৃদ্ধিমূলক এবং সামাজিক উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে।