আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষকে টার্গেট করে অনলাইনে চলযাইডটকম এ অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে টিকেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা।
চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও অনলাইনে বিভিন্ন রুটে ট্রেনের টিকিটের বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছিলো। গ্রাহকরা আগ্রহী হয়ে টিকেট কিনতে চাইলে টাকার বিনিময়ে তাদেরকে সরবরাহ করা হতো নকল টিকেট।
ট্রেনের টিকেটের বিপুল চাহিদার সুযোগে অভিনব পন্থায় এ প্রতারণা চক্রের দুই সদস্যকে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে আটক করেছে রেলওয়ে থানা (জিআরপি) পুলিশ।
আটকরা হলেন-তানভির ও হিমেল। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ট্রেনের প্রায় ১৬টি টিকেট উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুশো বণিক চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, চলোযাইডটকম’ নাম ব্যবহার করে একটি চক্র অনলাইনে ট্রেনের টিকেট বিক্রি করে আসছিল। তারা গ্রাহকের কাছ থেকে আসল টিকেটের টাকা আদায় করলেও সরবরাহ করতো জাল টিকেট। দেখতে অবিকল আসল টিকেটের মতো হওয়ায় যাত্রীরা বিষয়টি বুঝতে পারতেন না।
আসল টিকেটের নামে জাল টিকেট বিক্রি করায় বিষয়টি নিয়ে যাত্রার দিন যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বেন। এর ফলে একই সিটে একাধিক যাত্রী বসতে গেলে বিপত্তি বাধার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এসআই রুশো বণিক বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে কমলপুর রেল স্টেশন থেকে জাল টিকিট বিক্রির ওই চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। চক্রের মূলহোতা আহসান হাবীব পলাতক রয়েছেন। আটক দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কমলাপুরে পৃথক পৃথক অভিযানে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন- রুবেল, হজরত আলী ও দুলাল মিয়া।
এসআই রুশো বণিক এ বিষয়ে বলেন, এই তিনজনকে টিকেট কালোবাজারির দায়ে আটক করা হয়েছে। তারা আসল টিকেট সরবরাহ করলেও অবৈধ পন্থায় বাড়তি দামে টিকেট বিক্রি করছিলেন।
জাল টিকেট বিক্রয় এবং কালোবাজারির ঘটনায় সর্বমোট আটক ৫ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জনসাধারনের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রেলওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি।