অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের দীর্ঘ, কর্মময় জীবন কামনা করেছেন বিশিষ্টজনেরা। ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী তাকে আখ্যায়িত করেছেন সময়ের বাতিঘর হিসেবে।
পরিবার, আত্মীয়, স্বজন, সহকর্মী, শিক্ষার্থী, শুভানুধ্যায়ীর ভালোবাসায় স্নাত আনিসুজ্জামান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দেশের মানুষের প্রতি। চলে যাওয়ার আগে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের পরবর্তী খন্ডের কাজ শেষ করে যাওয়ার ইচ্ছের কথাও জানিয়েছেন এই প্রাজ্ঞজন।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, এক কথায় বলা যায় সময়ের বাতিঘর তিনি। ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কোলকাতায় জন্ম তার। ৪৭ এর দেশভাগের পর থেকে বাংলাদেশে। আমৃত্যু থাকতে চান এই মাটিতেই, এমনকি মৃত্যুর পরও এদেশেই কবর হবে এই চাওয়া তার।
ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা সব আন্দোলন, সংগ্রামের সঙ্গে নানাভাবে সম্পর্ক তার। মেধাবী শিক্ষক, প্রাজ্ঞ গবেষক, প্রতিবাদী বুদ্ধিজীবি, উদার মন ও মতের সহৃদয় মানুষ, দায়িত্ববান নাগরিক অসংখ্য বিশেষণে ভূষিত তিনি। বর্ণাঢ্য জীবনের আশি বছর পেরিয়ে ৮১ বছরে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, শারীরিক অসুস্থতার কারনে একটু দেরিতে তাকে শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন চন্দ্রাবতী একাডেমির।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আনিসুজ্জামানের সম্পর্ক ৬ দশকের। দীর্ঘ সময়ে একে অপরের মাধ্যমে ঋদ্ধ হয়েছেন দুজন।
শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সমাজ, রাজনীতি, মানবিকতাবোধ সব কিছুর অপূর্ব মিশেল আনিসুজ্জামান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মোড়ক উন্মোচন করা হয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সম্মাননা গ্রন্থের।
আয়োজন ছিলো সংগীতানুষ্ঠানের। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং অদিতি মহসিন আনিসুজ্জামানের পছন্দের ৬টি রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন আসরে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: