বার্সেলোনার অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই স্প্যানিশ সুপার কোপা জেতা হয়ে গেছে লিওনেল মেসির। তবে ন্যু ক্যাম্পে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটেছে বুধবার রাতে, হুয়ান গাম্পার ট্রফির ম্যাচে। স্মরণীয় মুহূর্তে স্বাগতিক দর্শকদের উদ্দেশ্যে আবেগঘন বক্তব্যও রেখেছেন বার্সার নতুন অধিনায়ক। জানিয়েছেন- কার্লোস পুয়েল, জাভি হার্নান্দেজ ও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাদের পথ অনুসরণ করে ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বপ্ন আছে তারও।
আর্জেন্টিনার হয়ে অধিনায়কত্বের ভার সামলাচ্ছেন সেই ২০১১ সাল থেকেই। অধিনায়ক হওয়ার অভিজ্ঞতাটা তাই মেসির কাছে নতুন নয়। বার্সার অধিনায়কের আর্মব্যান্ড আগে অবশ্য একাধিকবার তার স্পর্শ পেয়েছে, সেটা ছিল খণ্ডকালীন সময়ের জন্য। গত কয়েক মৌসুমের নিয়মিত অধিনায়ক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা জাপানী ক্লাব ভিসেল কোবেতে চলে যাওয়ার পর মেসিই এখন কাতালানদের প্রধান নেতা। শুরুতে নতুন লক্ষ্যের কথাও জানালেন মেসি।
‘প্রথমেই বলতে চাই, অধিনায়ক হওয়াটা আমার জন্য দারুণ গর্বের। আমি জানি বার্সার অধিনায়ক হতে পারাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি পুয়েল, জাভি আর আন্দ্রেসদের মতো দারুণসব গুরুদের কাছ থেকে শিখেছি। এ বছর তাদের অভাবটা ভীষণভাবে বোধ হবে।’
২০১৫ সালের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় দূরের কথা, টানা তিন আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বাদ পড়েছে বার্সা। গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রোমার বিপক্ষে ৪-১ গোলে প্রথম লেগে এগিয়ে থেকেও সেমির টিকিট কাটা হয়নি মেসিদের।
ন্যু ক্যাম্পে নেতার প্রথম ভাষণেই সমর্থকদের মনের ইচ্ছা পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন মেসি, ‘যদিও গত বছর আমরা লা লিগা ও কোপা ডেল রে জিতেছি, কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গিয়ে আটকে গেছি। আমরা প্রতিজ্ঞা করছি সুন্দর এই কাপকে ঘরে আনতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়েই চেষ্টা করে যাব।’
‘আমার মনে হয়, চলতি বছরে আমরা একটা শক্ত ভিত্তি দাঁড় করাতে পেরেছি। দলবদলে নতুন নতুন খেলোয়াড়রা আমাদের শক্তি বাড়িয়ে দারুণভাবে সাহায্য করবে।’ যোগ করেন মেসি।
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই বার্সার হয়ে নিজের ৩৩তম শিরোপা জিতে রেকর্ড গড়েছিলেন মেসি। ন্যু ক্যাম্পে তার শুরুটাও হয়েছে স্বপ্নের মতো। আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্সকে ৩-০ গোলে হারিয়ে অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছেন বার্সার নতুন নেতা।