ভুটানের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ-২০১৯ বাছাইপর্বের প্লে-অফ ম্যাচের দল থেকে বাদ পড়েছেন পরীক্ষিত ডিফেন্ন্সিভ মিডফিল্ডার জামাল ভুঁইয়া। তাকে বাদ দিয়ে আর অধিনায়ক ঠিক না করেই ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বড় ব্যবধানে না পারলেও জয় প্রত্যাশা করছেন হেড কোচ।
এএফসি এশিয়ান কাপে ১৯৮০’তে একবারই গ্রুপ পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ৩৬ বছরে চেষ্টাটা বাছাইপর্ব পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল লাল-সবুজদের। ২০১৯ সালের আসরকে সামনে রেখে আবারও চলছে সেই চেষ্টা।
বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে ছিটকে পড়া ১২ দল নিয়ে হচ্ছে ‘প্লে-অফ’, যেখান থেকে আট দল যাবে মূল পর্বে ওঠার শেষ ধাপ অর্থাৎ তৃতীয় রাউন্ডে। প্লে-অফের শেষ রাউন্ডে ৬ সেপ্টেম্বর ভুটানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর ১০ অক্টোবর অ্যাওয়ে ম্যাচ। ওই ম্যাচে এক গোলের ব্যবধানে জয় কিংবা ড্র করলেও পরের রাউন্ডে উঠতে পারবে বাংলাদেশ।
অ্যাওয়ে ম্যাচের জন্য জামাল ভুঁইয়াকে ২৩ সদস্যবিশিষ্ট স্কোয়াডের বাইরেই রেখেছেন কোচ। আছেন দু’জন অতিরিক্ত গোলরক্ষক এবং তিনজন স্ট্যান্ডবাই প্লেয়ার। কারণ ব্যাখ্যা করেছেন কোচ সেইন্ট ফিট।
টম সেইন্ট ফিট বলেন, যেহেতু আমরা ডিফেন্সিভ খেলতে চাইছি, তাই স্ট্যান্ডবাই প্লেয়ারের মধ্যে দুজন ডিফেন্ডার রাখা হয়েছে। আর আমরা ক্লাব এবং লিগের পারফরম্যান্স দেখেই দল নির্বাচন করেছি। লিগে জামালের পারফরম্যান্স খুব ভালো লাগেনি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, জামাল আর সুযোগ পাবে না।
ভুটানের বিপক্ষে হোম ম্যাচ গোলশূন্য ছিল। ব্যর্থতার কারণ হিসেবে স্কোরার এর অভাবই দায়ী। অ্যাওয়ে ম্যাচে মামুনুল-এমিলি-রনিরা পারবেন বলে বিশ্বাস বেলজিয়ান কোচের।
টম সেইন্ট ফিট বলেন, আমি দেখেছি মামুনুল দারুণ খেলে। কৌশলগুলো ও তাড়াতাড়ি রপ্ত করতে পারে। বাংলাদেশ দলে যথেষ্ট প্রতিভা আছে। আমাদের সেগুলো কাজে লাগাতে হবে। লিগের গত তিন ম্যাচে রনি দু’গোল করেছে। আশা করছি ভুটানের সঙ্গে ম্যাচেও রনি ভালো করবে। আর শুরুতে গোলটা যদি আমরা করতে পারি সেটাই আমাদের জন্য ইতিবাচক হবে।
আগের ম্যাচে স্কোর করার সুযোগ হারালেও এ ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী এমিলি।
ম্যাচ সামনে রেখে ১ অক্টোবর থেকে প্রস্তুতি ক্যাম্পে আছে বাংলাদেশ দল। ইনজুরির কারণে দলে নেই সোহেল আর মুস্তাক। ৭ অক্টোবর সকালে ভুটানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল।