অতীতকে পেছনে ফেলে নতুন করে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অঙ্গীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফিনল্যান্ডের হেলসিংকির প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে ঐতিহাসিক বৈঠকে এ অঙ্গীকার করেন দুই নেতা। বৈঠককে দু’দেশের অনেক সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ বলে আশা প্রকাশ করেছেন দুই নেতা।
সম্প্রতি ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের ঘটনায় ১২ রুশ কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর আগে থেকেই শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে একান্ত বৈঠকে বসেন দুই নেতা।
দুই ঘণ্টারও বেশি সময়ের বৈঠকে উঠে আসে সিরিয়া গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দুই নেতা। সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে বৈঠকটিকে শুভ সূচনা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ নাকচ করেন ট্রাম্প।
সংবাদ সম্মেলনে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে দুই দেশের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকার তাগিদ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কথা বলেন মার্কিন নির্বাচন নিয়েও। বলেছেন, রাশিয়া কোনো দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।
বৈঠকে সিরিয়া থেকে শুরু করে পরমাণু অস্ত্রসহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানান দুই নেতা।
বৈঠকে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ নিয়ে রাশিয়াকে জবাবদিহির ব্যর্থতায় ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেছেন খোদ রিপাবলিকানরাই। বিষয়টিকে দেশদ্রোহের সঙ্গে তুলনা করেছেন সিআইএ’র সাবেক পরিচালক জন ব্রেনান। ডেমোক্রাটরাও ট্রাম্পের বৈঠককে বিরক্তিকর, লজ্জাজনক, মানহানিকর, এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দুঃখজনক বলেছেন।
তবে ট্রাম্প এবং পুতিনের এ বৈঠকে বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন সূচনা হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।