দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা বৃহস্পতিবার রাতে একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হল। কোপা ডেল রে’র শেষ ষোল’র লড়াইয়ে তারা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেল।
তবে ফলাফলে রিয়াল ও বার্সা এক বিন্দুতে মিলিত হয়নি। জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে লস ব্লাঙ্কোস। অপরদিকে, পরাজয়ের বেদনা নিয়ে আসর থেকেই ছিটকে গেছে ব্লুগ্রানারা।
বৃহস্পতিবার এলচের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়ে কোপা ডেল রে’র কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। আরেক ম্যাচে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কাছে ৩-২ গোলে হেরে শেষ ষোলো থেকেই বার্সেলোনার বিদায় ঘণ্টা বেজেছে।
এস্তাদিও ম্যানুয়েল মার্টেনেজ ভ্যালেরোতে হওয়া রিয়াল-এলচের ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশুন্যভাবে শেষ হয়ে তা অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়ে যায়।
১০২ মিনিটের মাথায় নিজেদের ডি-বক্সের বাইরে প্রতিপক্ষের তেতে মরেন্তেকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন মার্সেলো। বিপদজনক জায়গায় ফাউল করার খেসারত হাতেনাতে পায় রিয়াল। বক্সের কাছ থেকে ডান পায়ের কিকে বল জালে জড়িয়ে স্বাগতিকদের লিড পাইয়ে দেন গঞ্জালো ভারদু।
গোল হজমের পর তা পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠা কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা ছয় মিনিট পরই তা পেয়ে যায়। দানি সেবালোসের পাসে বল পেয়ে ইসকো লক্ষ্যভেদ করে সমতা টানেন।
খেলার ১১৫ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে ডাভিড আলাবার বাড়ানো বল আদায় করে গোলরক্ষককে কাটিয়ে ফাঁকা পোস্ট পেয়ে বাঁ পায়ে নিশানাভেদ করে এডেন হ্যাজার্ড জয়সূচক গোলটি করেন। ম্যাচের একেবারে শেষ সময়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এলচের পেরে মিলা।
এদিকে, সান মামেসে হওয়া আরেক ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই বার্সার বিপক্ষে এগিয়ে যায় অ্যাথলেটিক বিলবাও। নিকো উইলিয়ামসের অ্যাসিস্টে বল নিয়ে ইকার মুনিয়াইন ডান পায়ে বল জালে প্রবেশ করিয়ে দেন।
২০ মিনিটেই অবশ্য ফেরান তরেস বার্সাকে সমতায় ফেরান। সার্জিও বুসকেটসের পাসে বল নিয়ে তিনি ডান পায়ের কিকে কাতালান ক্লাবটির জার্সিতে প্রথম গোলের দেখা পা।
ম্যাচের ৮৬ মিনিটে ইনিগো মার্টিনেজের গোলে বিলবাও আবারো লিড পেলে তারা জয়ের সুবাস পেতে থাকে। তবে যোগ করা সময়ে দানি আলভেসের পাসে বল নিয়ে পেদ্রি বল জালে পাঠালে খেলাটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ইকার মুনিয়াইন স্পটকিকে গোল করে বিলবাওকে শেষ আটের টিকেট হাতেন তুলে দেন। ডি বক্সের ভেতর জর্ডি আলবার হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে মুনিয়াইন ভুল করেননি।