করলা-নিমপাতার মতো নানারকম তিতা জাতীয় খাবার প্রতিদিন খাওয়ায় উপকারিতা অনেক। বিশেষ করে বসন্তকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তিতা জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রচলন রয়েছে বেশির ভাগ পরিবারে।
সাধারণত কোনও ওষুধ ছাড়াই যারা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে চান, তাদের অনেকেই তিতা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করে থাকেন। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
এমনিতেই তিতা জাতীয় খাবারের খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। কিন্তু কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষ করে বেশি তিতা খাবার খেলে কিডনি এবং লিভার উভয়ের ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
সম্প্রতি খাদ্যাভ্যাস এবং পুষ্টিগুণ নিয়ে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘‘ইন্টারন্যাশন্যাল ক্লিনিকাল নিউট্রিশন আপডেট ২০২২’’-এ নেফ্রোলজি চিকিৎসক শৌভিক সুরল এ বিষয়ে এক রোগীর ঘটনা উল্লেখ করেছেন।
শৌভিক সুরল বললেন, ‘আমার কাছে একজন রোগী এসেছিলেন, যার কিডনি এবং লিভার দুই-ই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল। অনেক রকম পরীক্ষা করেও বোঝা যাচ্ছিল না ঠিক কী কারণে এমনটা হতে পারে। অনেক কথা বলার পর জানা গেল, তাকে কেউ বলেছিল একটি উপায়ে ডায়াবেটিস হবে না। আর সেই কথা মেনে তিনি কাঁচা মাছের পিত্ত খেয়ে ফেলেছিলেন। আর এর ফলেই তার লিভার এবং কিডনি দুই-ই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল প্রায়।’
ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, কাঁচা মাছের পিত্ত ভয়ঙ্কর তিতা খেতে এবং পাশাপাশি তা শরীরের জন্য বিষাক্তও বটে। রান্না করার পর এই বিষটা নষ্ট হয়ে যায়। তবে কাঁচা খেলে তা শরীরের নানা অঙ্গ, বিশেষ করে কিডনি এবং লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে।
এই ধরনের আরও কিছু রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক, যাদেরও কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল একইভাবে। তাই কোনও ঘরোয়া টোটকা মানার আগে কার শরীরে কী রকম প্রভাব পড়তে পারে, তা চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।