কাল বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টা থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় আসর অস্কার। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারের লাল গালিচা প্রস্তুত। সেরা ছবিটাই অস্কার পাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক সময় সেরার ভাগ্যে অস্কারের সেই স্বর্ণালী মূর্তি জোটে না। মাঝে মাঝে অঘটনও ঘটিয়ে দেয় অস্কার।
এবারের আসরে রেকর্ড সংখ্যাক ১৪টি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছে ‘লা লা ল্যান্ড’ ছবিটি।
এর আগে কেবল ‘অল অ্যাবাউট ইভ’ (১৯৫৯) ও ‘টাইটানিক’ (১৯৯৭) ছবি দুটিই এত বেশি সংখ্যাক ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছিল। পুরো অস্কার জুড়েই যেন তাই ‘লা লা ল্যান্ড’ ছবির আধিপত্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই আধিপত্য টিকবে? নাকি অন্য কোনো অপেক্ষাকৃত কম আলোচিত ছবিই ছিনিয়ে নেবে অস্কার—এই উত্তর পেতে আর কয়েক ঘণ্টা বাকি আছে।
সেরা ছবি অথচ অস্কার জোটেনি, এমন দুর্ভাগা ছবির তালিকায় প্রথমেই রাখতে হয় আলফ্রেড হিচককের ‘ভার্টিগো’ সিনেমাকে। চলচ্চিত্রের ‘মাস্টার অব সাসপেন্স’ বলা হয় হিচকককে। অথচ তার সেরা ছবিটিকে শূন্য হাতে ফিরতে হয় অস্কার আসর থেকে। ২০১২ সালের এক জরিপে বিশ্বের ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত সেরা ছবি হিসেবে স্বীকৃতি পায় ‘ভার্টিগো’। অথচ একটি ক্যাটাগরিতেও অস্কার জিততে পারেনি সিনেমাটি।
তবে ভাগ্যের জোড়ে অপেক্ষাকৃত কম আলোচিত ছবিও পেয়েছে অস্কার। এর সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হতে পারে ১৯৬৯ সালে ৯টি ক্যাটাগরিতে অস্কার পাওয়া ‘গিরি’ ছবিটি। এতগুলো ক্যাটাগরিতে অস্কার পাওয়া এই ছবিকে মনে করা হয় অস্কার ইতিহাসের অন্যতম সেরা অঘটন। এছাড়া ২০০৬ সালের বেস্ট পিকচার হিসেবে জয়ী ‘ক্রাশ’ কিংবা ২০১৫ তে জয়ী ‘বার্ডম্যান’–এর মতো ছবিগুলো নিয়ে কম মাতামাতি হলেও তারা অস্কার জিতেছিল ঠিকই। অথচ ওই সময় এই ছবিগুলোর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বেশ কিছু আলোচিত সিনেমা ছিল।
তাই কেবল সেরা ছবিই অস্কার পায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক থেলমা অ্যাডামসের সোজা জবাব, ‘সেটা কেবল ঈশ্বরই ভালো বলতে পারবেন।’
এবার আসরে তেমন কোন অঘটন ঘটছে কি না, এজন্য কাল সকাল ছয়টা থেকেই টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখতে হবে। স্টার মুভিজ ও স্টার মুভিজ সিলেক্ট এইচডি চ্যানেলে সরাসরি দেখা যাবে পুরো আসরটি। বিবিসি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।