নিউজিল্যান্ডের হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির আকস্মিক অগ্নুৎপাতের ঘটনায় আটকে পড়াদের কেউ বেঁচে নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডার্ন।
তিনি বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে সন্ধান করেও কোনো প্রাণের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই দ্বীপটি নিরাপদ হওয়ার পর আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধার চেষ্টার বদলে মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দিকে গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধার প্রক্রিয়া চালানো হবে।
নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ২টা ১১ মিনিটে হঠাৎ করেই নিউজিল্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। মুহূর্তেই ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় আশপাশের এলাকা।
বিবিসি জানায়, আকস্মিক অগ্নুৎপাতের কিছুক্ষণ আগেই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের আশপাশে, এমনকি ভেতরেও অর্ধশতাধিক পর্যটক অবস্থান করছিলেন।
প্রাথমিকভাবে তাদের অনেকেরই খোঁজ না পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। আটকে পড়াদের যতো দ্রুত সম্ভব উদ্ধার করতে কাজ চলছে বলেও ওই সময় জানান তিনি।
উদ্ধার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত মোট ৩৪ জনকে হোয়াইট আইল্যান্ড দ্বীপ থেকে জীবিত উদ্ধার করে আনা সম্ভব হয়েছে। এদের মধ্যে ৩১ জনই এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কিন্তু বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণে আর কাউকে জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান জ্যাসিন্ডা। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরও ৮ জন দ্বীপে নিখোঁজ রয়েছেন। তারাও বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জ্যাসিন্ডা বলেন, আগ্নেয় দ্বীপটি পর্যবেক্ষণে বেশ কয়েকটি নিরীক্ষা ফ্লাইট চালনা করা হয়েছে। তারা প্রাণের কোনো চিহ্নই শনাক্ত করতে পারেনি।
‘আমি যতটা জানি, হেলিকপ্টারের পাইলট যিনি তিনি শুধু দ্বীপের ওপর দিয়ে উড়ে দেখে চলে যাননি। তিনি বিভিন্ন জায়গায় নেমে অনেকক্ষণ ঘুরে দেখে এসেছেন। তিনি ফিরে যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, দুঃখজনক হলেও সেখানে কারও জীবিত থাকার চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’
‘যারা পরিবার বা কাছের মানুষদের হারিয়েছেন বা খুঁজে পাচ্ছেন না, এই কষ্টের মুহূর্তে আমরা সবাই আপনাদের অকল্পনীয় শোকের অংশীদার,’ বলেন তিনি।
অগ্নুৎপাতে হতাহতদের মধ্যে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা রয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রধানমন্ত্রী।