অগ্নিনিরাপত্তার দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে ফায়ার সার্ভিসের দেয়া নোটিশ ভবনের দৃশ্যমান স্থানে সাইনবোর্ড আকারে টানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ও আইনজীবী ইসরাত জাহান সান্ত্বনা’র করা পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালত তার রুলে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপক আইন এবং বিধিমালা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। সেই সাথে রাজধানীর আবাসিক ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, হাসপাতালসহ ভবনগুলোতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা আছে কি না? এবং অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সুপারিশ প্রদানে একটি কমিটি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। যে কমিটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, রাজউকের প্রতিনিধি ও বুয়েটের একজন শিক্ষককে রাখা হয়েছে। আগামী ৪ মাসের মধ্যে এই কমিটিকে আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ও আইনজীবী ইসরাত জাহান সান্ত্বনা শুনানি করেন। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে গত বৃহস্পতিবার রাতের আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা কেউ ‘শঙ্কামুক্ত’ নন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে।
আগুনের ভয়াবহতা ও মৃত্যুর পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন শুক্রবার বেইলি রোডে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।