চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অগ্নিকাণ্ডে ইউনাইটেডে রোগীর মৃত্যু: ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে করোনা ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ রোগীর মৃত্যুতে ক্ষতিগ্রস্ত চার পরিবারকে ১৫ দিনের মধ্যে ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করা হয়েছে।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ইউনাইটেডের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত এই স্থগিতাদেশ দেন।

আদালতে ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। আর রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক, হাসান এম এস আজীম, মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ রিদওয়ান হোসেন, নিয়াজ মোহাম্মদ মাহাবুব ও শাহিদা সুলতানা।

এর আগে ১১ জানুয়ারি বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ইউনাইটেড হাসপাতালে করোনা ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ রোগীর মৃত্যুতে ক্ষতিগ্রস্ত চার পরিবারকে ১৫ দিনের মধ্যে ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেন।

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত চার পরিবারকে কেন ১৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

গত বছরের ২৭ মে হাসপাতালটির মূল ভবনের বাইরে আইসোলেশন ইউনিটে আগুন লেগে লাইফ সাপোর্টে থাকা পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়। তারা হলেন রিয়াজুল আলম (৪৫), খোদেজা বেগম (৭০), ভারনন অ্যান্থনি পল (৭৪), মো. মনির হোসেন (৭৫) ও মো. মাহাবুব (৫০)।

আগুনে মৃত এই ব্যক্তিদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা পৃথক চারটি রিট করেন।

সেসব রিটের শুনানি নিয়ে ১৫ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে আপাতত ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ দিনের মধ্যে ৩০ লাখ টাকা করে দিতে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

তবে হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ আবেদন করলে গত ২১ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।

এরপর গত ২০ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ বহাল রেখে ইউনাইটেডের আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেন। সেই সাথে হাইকোর্টের যেকোনো নিয়মিত রিট বেঞ্চে রিট আবেদনকারীপক্ষের রিটটিগুলো উপস্থাপন করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়। পরে রিট আবেদনকারীরা বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন। আদালত উভয় পক্ষকে শুনে গত ১১ জানুয়ারি রুলসহ ক্ষতিপূরণের আদেশ দেন। তবে মারা যাওয়া পাঁচ রোগীর মধ্যে একজনের পরিবার আগেই ইউনাইটেডের থেকে ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন বলে সে বিষয়টি হাইকোর্টের আদেশে আসেনি।