অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন চলতি মাসে ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে যেকোনো দিন ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে বাংলাদেশে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রথম মাসে ৫০ লাখ মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ডিস্ট্রিবিউশন সংস্থা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ২দিন তাদের ওয়ারহাউজে ভ্যাকসিন সংরক্ষণে রাখবে। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরর দেয়া তালিকামত কেন্দ্রে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথম মাসে ৫০ লাখ এবং পরের মাসে আরো ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসলে ওই ৫০ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রথম দিকে ভ্যাকসিন পাবেন অনুমোদিত স্বাস্থ্যকর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাষ্ট্র পরিচালনায় অধিনস্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী, সম্মুখসারির গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পৌরসভার প্রতিনিধি ও কর্মচারী, মৃতদেহ সৎকারে নিয়োজিত, জরুরি পানি-গ্যাস, বিদ্যুৎ পরিবহন কর্মী, বিমানবন্দরে নিয়োজিত কর্মচারী, প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিক।
আরও জানানো হয়, এছাড়াও জেলা-উপজেলা জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মচারী, ব্যাংক কর্তকর্তা-কর্মচারীও পাবে। দ্বিতীয় ধাপে বয়স্ক জনগোষ্ঠী, ৮০ বছরের ওপরে যারা তারা পাবেন, এরপর ৭৭-৭৯ বয়স্করা, এধাপে জাতীয় দলের খেলোয়াড়, যারা বিদেশে যাচ্ছেন তারাও পাবেন। এভাবে হিসাব করে ৫০ লাখ প্রথম রাউন্ডে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষে ৭০ বছরের উর্ধ্বে যারা ভ্যাকসিন পাবেন। তৃতীয় ও চতুর্থ মাসে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ভ্যাকসিন প্রাপ্তরা দ্বিতীয় ডোজ পাবেন। পঞ্চম মাসে ধর্মীয় প্রতিনিধি, ৬৪ বছরের সকল জনগোষ্ঠী ভ্যাকসিন পাবেন।
এছাড়াও বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্ম ‘কোভ্যাক্স’ কর্তৃক প্রদান করা ভ্যাকসিন আগামী মার্চ থেকে জুনের মধ্যে চলে আসলে আরো বেশি মানুষকে ভ্যাকসিনের সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
ভ্যাকসিন পরিবহন ও নিরাপত্তা বিষয়ে বলা হয়, ভ্যাকসিন পরিবহন সংরক্ষণ ও প্রদানের সময় যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসন সার্বিক কাজ করবে।