চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অকশনে মনোনয়ন বিক্রি করেছে বিএনপি: শেখ হাসিনা

বিএনপি অকশনে মনোনয়ন বিক্রি করেছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন: বিএনপি একেকটি আসনে ৪-৫ জনকে মনোনয়ন দিয়েছে। এরপর কী করলো? অকশনে তুলে বললো, যে যতো বেশি টাকা দিতে পারবা সে মনোনয়ন নিয়ে যাও। এই হলো বিএনপি।

শনিবার বিকেলে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিধির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন: এই ইনাম সাহেব (বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা) আজ আমাদের সঙ্গে এসেছেন। তার কাছ থেকেই আমরা শুনেছি কিভাবে বিএনপি মনোনয়ন বিক্রি করেছে। একজন ২ কোটি টাকা দেয়ার পর মনোনয়ন দিলো, এরপর আরেকজন যখন আড়াই কোটি দিলো তাকে মনোনয়ন দিয়ে দিলো। এভাবে মনোনয়ন বিক্রি করেছে বিএনপি। একজন ৫ কোটি দিলো, সেখানে যদি আরেকজন সাড়ে ৫ কোটি দিয়েছে বললো যাও মনোনয়ন নিয়ে যাও। এটাই তাদের রাজনীতির অবস্থা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন: ২০০৯ থেকে ২০১৮ আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আছে। ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে জীবন্ত মানুষের গায়ে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে পুড়িয়ে মেরেছে ওই বিএনপি-জামায়াত জোট। তারা হত্যা-সন্ত্রাস-দুর্নীতি-মানুষ পুড়িয়ে মারা ছাড়া আর কিছুই জানে না।

‘‘এমনকি এতিমের টাকা পর্যন্ত আত্মসাৎ করেছে তারা। যার জন্য মামলা হয়েছে। সেই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এখন জেলে রয়েছেন তাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু মামলা দিলো কে? তারই নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি, তার নির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান, তারই নির্বাচিত সেনাপ্রধান। দশ বছর ধরে চলা এ মামলায় তিনি এখন কারাগারে। এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই।’’

তিনি যোগ করেন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন আমাদের নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে। সেই মামলায় তারেক রহমানের সাজা হয়েছে। মানুষ হত্যার জন্য সাজাপ্রাপ্ত, দুর্নীতির জন্য সাহায্য প্রাপ্ত সেই তারেক জিয়া বিদেশে বসে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

শেখ হাসিনা বলেন: আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নয়; এতিমের টাকা মেরে দেয়ার জন্য নয়। এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করলে শাস্তি তো পেতেই হবে। এটা কোরআনেই লেখা আছে। এরপর তারা শুরু করলো অগ্নি সন্ত্রাস। আপনারা নিজেরাই একবার চিন্তা করে দেখেন, কেউ কখনো কোনো মানুষ মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে? তারা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, মসজিদ পুড়িয়েছে কোরআনে আগুন দিয়েছে। বাসের ভিতর হেল্পার পুড়ে অঙ্গার হয়ে আছে, এমন দৃশ্য আপনারা দেখেছেন। ছোট্ট শিশুরা পর্যন্ত রেহাই পায়নি। এদের ভিতরে যদি বিন্দুমাত্র মনুষ্যত্ব থাকত জীবন্ত মানুষকে ককটেল মেরে আগুন দিয়ে পোড়াতে পারত না।

আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্য বলেন: ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে শুরু করেছিলাম এখন ২০ হাজার মেগাওয়াট। যেখানে বিদ্যুৎ নেই সেখানে সোলার প্যানেল দিয়ে দিচ্ছি। প্রতিটি ঘরে ঘরে জ্বালবো আলো এই স্লোগান নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তার সরকারে উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন: কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার কোনো স্বীকৃতি ছিল না। সেটাকে আমরা মাস্টার ডিগ্রী সম্মানে নিয়ে  দিয়েছি। যাতে তারা এই সনদ ডিগ্রী নিয়ে দেশে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে। আগামীতে যদি আমরা ক্ষমতায় আসতে পারি দারিদ্র বলে কিছু থাকবে না। মানুষ সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে পারে, সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি যোগ করেন: নৌকা হচ্ছে মানুষের বিপদের বন্ধু্। নূহ নবীর আমলে মহা-প্লাবন হাত থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করেছিল এই নৌকা। নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ পেয়েছে স্বাধীনতা, মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার।