ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। ‘হাউসফুল’, ‘গ্র্যাজুয়েট’, ‘মাইক’, ‘হাম্বা’, ‘বন্ধু এবং ভালোবাসা’, ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ’, ‘ড্যান্স ডিরেক্টর’, ‘চৈতা পাগল’, ‘বরিশালের মামা ভাগ্নে’, ‘আমাদের সংসার’ ও ‘রেডিও চকলেট’ ছাড়াও অসংখ্য দর্শকপ্রিয় নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, নিজের গল্পে ‘এই তো ভালোবাসা’ নামের একটি ছবিতেও অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা। অভিনয়ের পাশাপাশি সিদ্দিকের ইচ্ছে, তিনি সংসদ সদস্য হয়ে দেশ ও জনতার উপকারে নিজেকে ঢেলে দেবেন। সেজন্য গত শনিবার আসন্ন সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবার আশায় তিনি মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী অভিনেতা সিদ্দিক। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, ২৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ করছি। আওয়ামী লীগপন্থী পরিবারের আমার জন্ম হয়েছে। বাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন ২২ বছর। এলাকা কন্ট্রোল করতাম আমরা। ৯৪ সাল থেকে ছাত্রলীগ করছি। আমি নিজে এক বছর ধরে বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতি জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
সিদ্দিক যে আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য নমিনেশন ফরম কিনেছেন, সেখানকার বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এতবড় একজন নেতার বিপরীতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে সিদ্দিক বলেন, উনি স্থানীয় নন। অন্য এলাকার মানুষ। কিন্তু আমাদের আসন থেকে নির্বাচিত। এবার এলাকার মানুষ চাচ্ছেন আমি নির্বাচিত হই। মানুষ আমার ব্যাপারে খুব পজিটিভ। সেজন্য নমিনেশন তুলেছি। মানুষের আগ্রহ এবং উৎসাহ আমাকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।
সিদ্দিক জানান, ২০০৭ সাল থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। ৬০ টির বেশি জনসংযোগ করেছেন এলাকায়। তার এলাকাতে ( মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা) নিজের নাম ঈদগাহ নির্মাণ করেছেন। এছাড়া ছাত্রবাস, খেলার মাঠ বানিয়ে দিয়েছেন।
সিদ্দিক আরও যোগ করে বলেন, আমার বিশ্বাস আছে দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকেই মনোনীত করবেন। আমি তরুণদের নিয়ে এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখেছি। এলাকায় আমার জনপ্রিয়তাও রয়েছে। আমি নির্বাচনে সফল হবো বলে আশাবাদী।