দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শনিবার বিকেলে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ প্রবেশের পর আবারও আমদানি বন্ধ রয়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ।
তবে ভারত থেকে শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসা আড়াই’শ মেট্রিক টন বা ১১ ট্রাক পেঁয়াজ অধিকাংশই পঁচা। এ পঁচা পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
অতিরিক্ত গরমে পচে যাওয়া এসব পেঁয়াজ আড়তের সামনে পড়ে আছে। বিকট দুর্গন্ধে ছড়াচ্ছে পেঁয়াজগুলো। এতে শুধু ব্যবসায়ী নয়, পেঁয়াজ পঁচার গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী ও এলাকাবাসী।
ব্যবসায়ীরা এসব পেঁয়াজ প্রতিবস্তা ৫০ থেকে একশ’ টাকা দরে বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে চরম লোকসানের মুখে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। ভারতে আটকে থাকা আরও দুই‘শ টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক নিয়ে বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা বাংলাদেশী আমদানিকারকদের।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেছেন: গত ১৩ সেপ্টেম্বর যেসব পেঁয়াজ এলসি করা হয়েছিলো, সেই প্রায় আড়াইশ’ মেট্রিক টন ১১ ট্রাক পেঁয়াজ রোববার ভারত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। বাকি আরও প্রায় দুইশ’ ট্রাক পেঁয়াজ এখনো ভারতের রাস্তায় আটকা পড়ে আছে।
তিনি জানান: প্রতিবছর চাহিদা থাকায় দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ২ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন হিলির আমদানিকারকরা। চলতি বছরের ৬ জুন থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ৩ মাসে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৫৭ হাজার মেট্রিক টন। আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও বন্যা ও উৎপাদন সংকট দেখিয়ে হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বারবার ভারত সরকারের এমন সিদ্ধান্তে পুঁজি হারাতে বসেছেন হিলির আমদানিকারকরা, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
ভারতের অভ্যন্তরে আটকে থাকা পেঁয়াজ আমদানিসহ ক্ষতি পূরণের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া আমদানির ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।