গত সপ্তাহের আগেও পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন, চাকরি নিয়ে রীতিমতো টানাটানি। কোনো এক জাদুর কাঠির পরশে অবস্থা পুরো পাল্টে দিয়েছেন জিনেদিন জিদান। রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি কোচের শুকনো, রসহীন মুখে আবারও ফিরেছে ‘বিরল’ হাসি।
বুধবারের আগেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে খেলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল রেকর্ড ১৩বারের চ্যাম্পিয়নরা। বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে ম্যাচটা হেরে গেলে কত দ্রুত চাকরি হারাবেন জিদান, সেটা নিয়েও হয়েছে বিস্তর কানাকানি।
দুশ্চিন্তার সেখানেই শেষ নয়। বুধবারের ম্যাচের তিনদিনের মধ্যে আরেকটা বড় ম্যাচ নিয়ে মাথা খাটাতে হয়েছে জিদানকে। এল ক্ল্যাসিকোর পর লা লিগায় সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাদ্রিদ ডার্বিতে দল সাজানো নিয়েও টাক মাথায় কাল্পনিক চুল ছেঁড়ার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনদিনে সর্বোচ্চটা দিয়ে প্রিয় কোচের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন রিয়াল খেলোয়াড়রা।
মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে গ্রুপ সেরা হয়ে নকআউট নিশ্চিত করার পর শনিবার রাতে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে ‘মাদ্রিদ ডার্বি’ও জিতে নিয়েছে রিয়াল। ১৫ মিনিটে কাসেমিরোর গোলের পর ৬৩ মিনিটে জিদানের মুখে হাসি ফুটিয়েছে অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক ইয়ান ওব্লাকের নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেয়া গোল!
শিষ্যদের খেলা নিয়ে জিদান যে তৃপ্ত, সেটা মাঠেই দেখা গেছে। ম্যাচের এক পর্যায়ে অ্যাটলেটিকো কোচ ডিয়েগো সিমিওনের সঙ্গে হাল্কা খুনসুটি করতে গিয়ে হেসে ফেললেন। মাঝমাঠে দুই বুড়ো মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ ও টনি ক্রুজের খেলা তার মন ভরিয়েছে। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে গেলেন দলের বাকিদেরও।
‘মদ্রিচ আর ক্রুজ অসাধারণ। তারা অনন্য। করিম বেনজেমাও ভালো খেলেছে। লুকাস ভাসকুয়েজ তো অসাধারণ। দানি কারভাহাল, আমাদের অধিনায়ক সার্জিও রামোসও ভালো খেলেছে। সবাই দারুণ খেলেছে।’
নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে ম্যাচ জিতে পয়েন্টের ব্যবধান তিনে নামিয়ে এনেছে রিয়াল। টেবিলের তিনে থাকা দলটির ১২ ম্যাচে পয়েন্ট ২৩ আর ১১ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে অ্যাটলেটিকো আছে শীর্ষে।