সুশান্তের মৃত্যুর পর বলিউডের স্বজনপ্রীতি (নেপোটিজম) এখন আলোচনার অন্যতম বিষয়। ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমের সামনে অনেক তারকা মুখ খুলেছেন। এমনকি অনেকে বলিউডে নিজেদের স্বজনপোষণের শিকার হওয়ারও বাস্তব জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন অভিনেত্রী তাপসী পান্নু।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে তাপসী জানিয়েছেন যে, আপনি যখন কোন স্টারকিড হয়ে জন্মগ্রহণ করেন তখন সাফল্যে পথ খুঁজে পেতে আপনাকে খুব বেশি পরিশ্রম করার প্রয়োজন পরে না। কেননা অন্যান্যদের তুলনায় যোগাযোগের দিক থেকে আপনি অনেক বেশি এগিয়ে থাকেন, যেই সুযোগটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বাহিরে থেকে আসা বাকিদের থাকে না।
‘তবে আমি মনে করি দর্শকরা স্টারকিডদের অভিনয়ের তুলনায় বহিরাগতদের অভিনয় বেশি পছন্দ করেন। কারণ বহিরাগতরা যখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য চেষ্টা করেন তখন সেটিতে থাকে তাদের শতভাগ চেষ্টা। কারণ তারা জানেন তাদের টিকে থাকার জন্য চেষ্টার কোন বিকল্প নেই।’ এমনটাই জানিয়েছেন ‘পিঙ্ক’ খ্যাত এই অভিনেত্রী।
বলিউডে তিনি নিজে কখনো এই অবস্থার শিকার হয়েছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তাপসী জানান, হ্যাঁ, বহুবারই এমন হয়েছে। স্বজনপোষণের শিকার হয়ে আমি বেশকিছু সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ হারিয়েছি। তবে সেক্ষেত্রে দায়ী শুধু মাত্র স্বজনপোষণ নয়, এক্ষেত্রে দর্শকরাও অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করে। কেননা দর্শকরা যদি নতুনদের সিনেমা হলে গিয়ে না দেখে তবে তারা পরবর্তী সিনেমার জন্য সুযোগ কোথা থেকে পাবে? সিনেমা হিট হলেই পরিচালকরা নতুনদের পরবর্তী সিনেমার জন্য সুযোগ দেয়। সেক্ষেত্রে দর্শকদের ভূমিকাও অনেক বড়।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণের সিনেমার শুটিং পুরোপুরি শুরু না হলেও তাপসী হাতে রয়েছে বেশ কিছু সিনেমার কাজ। যার ভেতর ‘রশ্মী রকেট’, ‘সাবাশ মিঠু’, ‘হাসিন দিলরুবা’, ‘লুপ লাপেটা’ অন্যতম।