সিলেটে শিশু রাজনকে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার প্রধান আসামী কামরুল ইসলামকে সৌদি আরব থেকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছান বাংলাদেশ পুলিশের তিন সদস্যের দল।
এরআগে কামরুলকে দেশে ফেরত আনতে ইন্টারপোল সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্দ্ধতন তিন কর্মকতা মাহবুবুল করিম, মো. রহমত উল্লাহ ও এস এফ এম নিজাম উদ্দিন সোমবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ যান।
কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষে তাকে ১৫ অক্টোবর আনা হবে বলে নিশ্চিত করেছিলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সেদেশের পুলিশ সদর দপ্তরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ মিশন এ প্রস্তুতি সম্পন্ন করে।
রাজন হত্যার পর কামরুল পালিয়ে সৌদি আরব যায়। জেদ্দায় আত্মগোপন করে থাকা অবস্থায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহায়তায় জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের একটি দল কামরুলকে ধরে সৌদি পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তি না থাকায় দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সৌদি বাদশার অনুমতির নিয়ে কামরুলকে বাংলাদেশে আনা হলো।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমরগাঁও বাসস্ট্যান্ডের পাশে চুরির অভিযোগে শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় ঘাতকরা। যে ভিডিও দেখে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
বর্বোরোচিত এই ঘটনায় কামরুলসহ ১৩ জনকে আসামি করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে আজ দেশে ফিরিয়ে আনা কামরুল ছাড়াও অন্য ১০ জন আটকাবস্থায় রয়েছেন।