লক্ষ্য ২৩৫ রান। কেন উইলিয়ামসন নিজে করলেন অপরাজিত ১১২ রান। তবুও ম্যাচটা হারতে হল নিউজিল্যান্ডকে। অধিনায়কের এমন বীরত্বের ম্যাচে স্বাগতিকরা হেরেছে মাত্র ৪ রানে। সেই সুযোগে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে লিড নিয়েছে ইংল্যান্ড।
দলীয় ১২ রানে প্রথম উইকেট (গাপটিল ৩ রান) হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৮ তুলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেন কলিন মুনরো ও উইলিয়ামসন। কিন্তু হাফসেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে থাকা মুনরো (৪৯) যখন ফিরলেন, শুরু হল উইকেট পতনের মিছিল। পরে ৮০ থেকে স্কোরবোর্ড ১০৩ পর্যন্ত নড়তেই ৬ উইকেট নেই কিউইদের।
মঈন আলি ও আদিল রশিদের ঘূর্ণিতে একে একে ফিরে যান মার্ক চ্যাপম্যান (৯), টম ল্যাথাম (০), মার্ক নিকোলস (০) ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমে (৩)। এরপরও মিচেল স্যান্টনারকে নিয়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন উইলিয়ামসন। অষ্টম উইকেটে ৯৬ রান তোলেন দুজনে। কিন্তু ৪১ রান করা স্যান্টনার আউট হলে আবারও বিপদ বাড়ে। উত্তেজনা ঠাসা ম্যাচের শেষ বলে দরকার ছিল ৪ রান, কাঙ্ক্ষিত বাউন্ডারিটি হাঁকাতে পারেননি কিউই অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ডও থামে ২৩০ রানে।
আগে ওয়েলিংটনে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান উইলিয়ামসন। নির্ধারিত ওভারের শেষ বলে ২৩৪ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা।
ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৫ রানে ওপেনার জেসন রয়ের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ব্যক্তিগত ১৫ রান করে বোল্টের বলে আউট হন তিনি। দলীয় ৬৪ রানের মধ্যে জো রুট (২০) ও জনি বেয়ারস্টো (১৯) সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭১ রান তুলে দলকে কিছুটা চাপমুক্ত করেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান ও বেন স্টোকস। সাউদির বলে মরগান ব্যক্তিগত ৪৮ রান করে আউট হলে বড় রানের আশাও শেষ হয়ে যায় সফরকারীদের। অন্যপ্রান্তে খেলতে থাকা স্টোকসও বেশিদূর যেতে পারেননি। ৩৯ রানের মাথায় ইশ সোধির বলে ফেরেন।
শেষদিকে জস বাটলার (২৯), মঈন আলি (২৩) ও ক্রিস ওকসের (১৬) রানের ছোট ছোট ইনিংসের সুবাদে দুইশোর্ধ রান করে ইংল্যান্ড। কিউইদের হয়ে স্পিানার ইশ সোধি ৫৩ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। এছাড়া দু’টি উইকেট নেন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।