অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৩ জন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোর্পদ করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে র্যাব। এর আগে সোমবার রাতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। র্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান লে.কর্নেল আশিক বিল্লাহ সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কক্সবাজার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-পরিদর্শক শাহাজাহান, কনষ্টেবল রাজিব ও আব্দুল্লাহ। এরা তিনজনই ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিলেন।
আশিক বিল্লাহ আরও জানান, ‘সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কারাগারে থাকা রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামী ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’

এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ওসি প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ছিল।
কিন্তু, র্যাবের একটিদল ওসি প্রদীপ সহ তিনজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে। একইভাবে ওসি প্রদীপকে আমরাও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগারে পৌছেছি। যেহেতু ওসি প্রদীপকে আমাদেরও জিজ্ঞাসাবাদেও প্রয়োজন ছিল, সেহেতু পুরো বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি অবহিত করেছি। উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো: রাশেদ। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।
ওই ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছে। তাদের মধ্যে চার পুলিশ সদস্য ও তিন সাক্ষীকে রিমান্ড শুনানি করছে তদন্তকারী সংস্থা র্যাব।