ওয়ানডেতে আগের অর্ধশতক গতবছর মে মাসে। টি-টুয়েন্টিতে আরও আগে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সাব্বিরের কাছে বাংলাদেশের ‘কিছু পাওনা’ শুধু এ কারণে নয়, এদিন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও রানআউট হতে হয়েছে তার ভুলে। সাব্বির দায় মিটিয়েছেন অর্ধশতকে (৭৭)। তার লড়াকু ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ভারতকে ১৬৭ রানের টার্গেট দিয়েছে।
সাব্বির এদিন তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে আসেন। সেটা সেই চতুর্থ ওভারে। এরপর মিডলঅর্ডারে মুশফিকের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি আর রিয়াদের সঙ্গ ৩৬ রানের জুটি গড়েন। সাকিবের সঙ্গে ২৯ রানের আরেকটি। শেষ দিকে মেহেদীর সঙ্গে ১৪।
সাব্বির শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে সাতটি চার, চারটি ছয়ে ৭৭ করে উনাদকাটের বলে বোল্ড হন।
বাংলাদেশ এদিন পাওয়ার প্লেতে বেশি বেশি রান তুলতে গিয়ে দুই ওপেনারসহ তিন ব্যাটসম্যানকে হারায়।
অফস্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দরের দ্বিতীয় ওভারে বিদায় নেন লিটন কুমার দাস। শাফল করে অফস্টাম্পের বাইরে গিয়ে সুইপ করেন। স্কয়ার লেগ খালি দেখে লিটন ওভাবে শট খেলেন। কিন্তু বল উঠে যায় শর্টফাইন লেগে রায়নার হাতে। ৯ বলে ১১ করেন লিটন।
তামিম ফেরেন পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে। রিস্ট স্পিনার যুবেন্দ্র চাহালকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লংঅনে সীমানার কাছে আটকে যান। ওখানে ছিলেন শারদুল ঠাকুর। প্রথমে দুই হাত দিয়ে বল তালুবন্দি করেন। ভারসাম্য রাখতে সীমানা দড়ির একদম কাছে দাঁড়িয়ে একহাতে বল নেন। একবার ছোট একটা লাফও দেন। কিন্তু তারপরও দড়ি থেকে চুল পরিমাণ দূরে থেকে যান। কপাল পোড়ে তামিমের। বাঁহাতি ওপেনার ১৩ বলে ১৫ করে বিদায় নেন।
একই ওভারের শেষ বলে সৌম্য সরকার সুইপ খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে যুবেন্দ্র চাহালের বলে সৌম্য ধরা পড়েন লেগ আম্পায়ারের একদম কাছে। শেখর ধাওয়ানের হাতে। দুই বলে সৌম্য করেন এক।
মুশফিককেও বিদায় করেন লেগস্পিনার চাহাল। দশম ওভারে প্রথম বলে গুগুলি প্র্যাকটিস করেন চাহাল। ডানহাতি লেগস্পিনারের বিপক্ষে ডানহাতি ব্যাটসম্যান অফস্পিন ফেস করলে তাকে গুগলি বলে। লেগস্পিনের কঠিন এই ডেলিভারিতে ব্যাটসম্যানের খুব বেশি কিছু করার থাকে না। মুশফিক পারেনওনি। ধরা পড়েন বিজয় শঙ্করের হাতে। তিনি করতে পারেন ১২ বলে ৯।
রিয়াদ-সাব্বির সেট হওয়ার চেষ্টা করেন। আগের ম্যাচের নায়ক রিয়াদ বল-টু-বল সিঙ্গেলের মানসিক প্রস্তুতি শুরু থেকে নিয়ে নেন। মুশফিক যে ওভারে আউট হয়েছেন ওই ওভারে তৃতীয় বলটিও চাহাল গুগলি মারেন। রিয়াদ সেটি সামলে নেন। এরপর বিজয় শঙ্করের একটি ফুলটসও মাটিতে খেলেন। এমন ‘শান্ত’ রিয়াদ সাব্বিরে এক ভুলে রানআউট হন।
১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বল উইকেটরক্ষক কার্তিকের হাতে বল যেতেই সাব্বির ননস্ট্রাইক প্রান্ত থেকে দৌড় শুরু করেন। হতভম্ব রিয়াদ উপায় না দেখে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। পরিণাম রানআউট। সাব্বিরের সঙ্গে তার জুটি ৩৬ রানের। ১৬ বলে দুই চারে তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ২১।
ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা সাকিব আল হাসানকে এদিনও ছন্দহীন মনে হয়েছে। অফস্টাম্পের বলে শুরুতে কানায় লেগে চার পান। এভাবে সাত বলে সাত করার পর রানআউট হন।
শেষদিকে মেহেদী হাসান মিরাজ ছোট একটা ঝড় তুলে স্কোর দেড়শো পার করেন। তিনি সাত বলে দুই চার, এক ছয়ে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।