রাজধানীতে রোববার সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত এমন অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী যদি জড়িত থাকে তাহলে আমাকে তথ্য প্রমাণ দিন। আমি বিচার করবো।
সোমবার বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনের পুরোটা সময়ই জুড়েই সড়ক পরিবহন ছিলো আলোচনায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন: এই আইনটি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছি। ওয়েবসাইটে দিয়েও জনমত যাচাই করেছি। এবার এটা পার্লামেন্টে যাবে। সেখানে পাশ হলে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে চুল চেরা বিশ্লেষণ করা হবে। কাজেই এটা নিয়ে আরো আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন: কিছু কিছু বিষয় পরিস্কার করে বলা দরকার। এখানে যে সর্বোচ্চ শাস্তির কথা বলা হয়েছে। তবে সেটা অপরাধের মাত্রার ওপর নির্ধারিত হবে। মানে কিলিং যদি উদ্দেশ্যমূলক হয় কিংবা প্রমাণ হয় ডেলিভারেড কিলিং সেই মামলাটি চলে যাবে ৩০২ ধারায়। সেখানে মৃত্যুদণ্ড হবে।
এছাড়া বেপরোয়া চালনায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে চালকের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর শাস্তি হবে। এক্ষেত্রে সাজা সাত বছর করার জন্য আদালতের একটি পর্যবেক্ষণ ছিলো, এ বিষয়ে কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন: আদালত আদালতের কথা বলেছে। আমরা অভিজ্ঞতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি প্রসঙ্গে কাদের বলেন: সম্প্রতি যে শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সেখানে ৩০২ ধারা প্রযোজ্য ‘হতে পারে’। এছাড়া নয় দফা বাস্তবায়নে আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। প্রাথমিক দায়িত্বগুলো শেখ হাসিনার নির্দেশে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এরই মধ্যে প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের যেকোন প্রয়োজনে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা তাদের পাশে থাকবেন বলেও তাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
এখন খুশির কথা হলো ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলন ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। যত দূর খবর পেয়েছি তারা ঘরে ফিরে গেছে।
ছাত্রছাত্রীদের অরাজনৈতিক আন্দোলন নিয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছিলো অভিযোগ করে তিনি বলেন: আমীর খসরুর ফোনালাপে উস্কানির মতো বক্তব্যকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমর্থন করেন। এটা পরিস্কার হয়ে গেছে, শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনে বিএনপি অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে সরকার হটানোর আন্দোলনের রূপ দিতে চাইছে। এটা বিএনপি সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
আমি বিশ্বাস করি কোন ছাত্র-ছাত্রী অস্ত্র হাতে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা করতে আসবেনা। কাল যারা শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব হয়ে ধানমন্ডিতে প্রবেশ করেছিলো আমি সচিবালয় থেকে ফেরার পথে তাদের দেখেছি। তার শিক্ষার্থী নয়। বিএনপি জামায়াতের তরুণ প্রশিক্ষিত ক্যাডার। তবে দু’একজন চলমান শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে থাকতে পারে।
এছাড়া, বিআরটিএর কাজ এগিয়ে নিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনি থেকে বৃহস্পতিবার দেশের সকল বিআরটিএর কার্যালয় সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে সাংবাদিকদের জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। এসময়ে জনসাধারণ যানবহনের ফিটনেস রিনিউ, ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ এবং গ্রহণের মত কাজগুলো করতে পারবে।