চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

সরকারের দক্ষতায় করোনায় ক্ষয়-ক্ষতি কম: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে করোনাভাইরাসে দেশে ক্ষয়-ক্ষতি কম হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দক্ষতার সঙ্গে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রয়েছে। সরকারের প্রচেষ্টায় মানুষ সচেতন হচ্ছে, ফলে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া প্রণোদনা প্যাকেজ’ বিষয়ে সিরিজ মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রথম সভার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় ‘কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখা এবং অর্থনীতির সামগ্রিক চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা’।

অনুষ্ঠানে বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সফলভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সংবলিত প্রায় এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির জন্য এসব পদক্ষেপ খুবই প্রয়োজন ছিল।

তিনি বলেন, করোনা সংকটেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ এবং মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে। ফলে কঠিন পরিস্থিতিতেও দেশে কোনো পণ্যের সংকট হয়নি বা দাম বাড়েনি।

চীনে কোভিড-১৯ শনাক্তের পর মার্চের ৮ তারিখ বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয়। দেশে ৬৬ দিন সরকারি ছুটি কার্যকর ছিল। প্রয়োজনে সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। অর্থনীতির ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে নিতে হয়েছে অনেক পদক্ষেপ। সে কারণে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস মার্সি মিয়াং টেমবোন, বিজিএমইএ-এর প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ প্রমুখ।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View