সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতা বিষয়ক এক সংসদীয় বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন টিম উইলসন। অস্ট্রেলিয়ার লিবারেল পার্টি ও সংসদের নিম্ন কক্ষের এই সদস্য সেসময়ই বিয়ের প্রস্তাব দেন তার পার্টনারকে। আর তাতে সহাস্যে রাজি হয়ে যান রিয়ান বলগার। অন্যান্য সংসদসহ স্পিকারের অভিনন্দনে সিক্ত হন এই জুটি।
হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ সোমবার বিলটির উপর আলোচনা শুরু হয়। ৭৭ জন সংসদ সদস্য এই বিলের উপর বক্তব্য রাখবেন, যাদের একজন উইলসন। গুরুত্বপূর্ণ কোন সংশোধনী আনা না হলে, এই সপ্তাহেই বিলটির উপর ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে। পাঁচ দিন আগে সিনেটে বিলটি পাস হয়েছিলো।
সংসদীয় বিতর্কে দাড়িয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া প্রথম ব্যক্তি উইলসন, কর্মকর্তারা এমনটি জানান। এসময় পাবলিক গ্যালারিতে বসে থাকা রিয়ান উচ্চস্বরে ‘হ্যাঁ’ বলেন। নয় বছর ধরে তাদের সম্পর্ক ছিলো।
আবেগপ্রবণ উইলসন বলেন, “প্রথম বক্তব্যে, আমাদের বাম হাতে থাকা আংটি দিয়ে বন্ধনের সংজ্ঞা দিয়েছিলাম। আমরা যা জিজ্ঞেস করতে পারি না, তার জবাব এগুলো (আংটিগুলো)। এখন শুধু একটা কাজই বাকি। রিয়ান প্যাট্রিক বলগার, তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?”
এই প্রশ্নের পরপরই উল্লাস, প্রশংসার বৃষ্টি শুরু হয়। স্পিকার এই জুটিকে অভিনন্দন জানান। এর আগেই তিনি নিশ্চিত করেন বলগারের ‘হ্যাঁ’ জবাব সংসদের তর্কবিতর্কের মুদ্রিত বিবরণীতে অফিসিয়ালি রেকর্ড করা হয়েছে।
সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা জাতীয় বিতর্ককে নিজেদের সম্পর্কের ‘সুর’ বলে অভিহিত করেন উইলসন।
এর আগে, এই সরকারদলীয় সাংসদ একজন সমকামী কিশোর হিসেবে বেড়ে উঠার অভিজ্ঞতার কথা বলেন। সমকামীতাকে ঘিরে থাকা কালিমার সাথে সংগ্রামের কথা বলেন।
তিনি বলেন, “কলঙ্ক এবং প্রথার হৃদয়ে বিদ্ধ করা এক পেরেক এই বিল।”
কনজারভেটিভ রাজনীতিকরা এই বিলের সংশোধনীর প্রস্তাব দিবেন বলে প্রত্যাশিত। সমলিঙ্গের বিয়ে পড়ানোতে অস্বীকৃতি জানানোর ক্ষেত্রে পাদ্রীকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করতে পারেন তারা। অবশ্য এই ধরণের সংশোধনী গত সপ্তাহে সিনেট তাদের বিতর্কে বাতিল করে দিয়েছিলো।
গত মাসে, অস্ট্রেলিয়ানরা এক জাতীয় ভোটে সমলিঙ্গের বিয়ের ব্যাপারে সমর্থন জানায়। ৬২ শতাংশ মানুষ এর পক্ষে ভোট দেন, বিপক্ষে ছিলো ৩৮ শতাংশ।