উত্তরের সীমান্ত জেলা দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত, একইরকম পরিস্থিতি বিরাজ করছে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও। জেলায় গত তিনদিন ধরে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করছে। আজ শুক্রবার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

হঠাৎ জেঁকে বসা শীতে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। প্রচন্ড ঠান্ডা,ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছে। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য উদিত হলেও কমছে না শীতের প্রকোপ। শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। হাসপাতালে বেড়ে চলেছে শিশু ও বয়স্ক রোগী সংখ্যা। হঠাৎ শীতে শ্রমজীবি মানুষের বেড়েছে চরম দুর্দশা। ঠান্ডার কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না তারা।
শীত মোকাবেলায় দিনাজপুরে জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে কম্বল এবং শুকনো খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেনজেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী।
তিনি জানান, শীত মোকাবেলায় মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত চাহিদা পত্রের অর্ধেক শীতবস্ত্র কম্বল ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। এছাড়াও বেসরকারিভাবেও শীত নিবারণের পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, দিনাজপুরে আজ শুক্রবার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২/৩ দিনে তাপমাত্রা আরো কমবে।