আগের ম্যাচে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়েও জয় আনা যায়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে জিততে তো রেকর্ডই করতে হবে বাংলাদেশকে। শুরুতে ব্যাট করে ২১০ রান জমা করেছে শ্রীলঙ্কা। সেখানে ছোট ফরম্যাটে আগে কখনও দুইশই ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ।
টি-টুয়েন্টিতে রান তাড়া করে জেতার বাংলাদেশি রেকর্ডটি ১৬৪ রানের। সেটিও ২০০৭ সালে, টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আর এই ফরম্যাটে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহটি ১৯৩ রানের, মিরপুরে দুদিন আগে করেছিল স্বাগতিকরা।
সিলেটে রানের উইকেটে শুরুতেই ঝড় তোলেন কুশল মেন্ডিস ও দানুস্কা গুনাথিলাকা। ওপেনিং জুটিতে তাদের ব্যাটে আসে ৯৮ রান, ১১ ওভারে। ঝড়ো শুরুর পর শেষেও চার-ছক্কার তাণ্ডব চালিয়ে পাহাড় ঘেরা সিলেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যনাদের কাঁধে পাহাড় সমান লক্ষ্যই দিল সফরকারীরা।
টাইগার বোলারদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন কুশল মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে তিনটি ক্যাচ ছেড়েছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। শুরুটা মেন্ডিসের ক্যাচ ছেড়েই। ৮ রানে জীবন পাওয়ার পর বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন এ তরুণ। ৪২ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলে মোস্তাফিজের বলে যখন থামেন, ততক্ষণে রানের চূড়ায় উঠে গেছে লঙ্কানরা। ৬ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংস তার।
মেন্ডিসের জুটি সঙ্গী গুনাথিলাকা থেমেছেন ৩৭ বলে ৪২ রানে, দুই জীবন পাওয়ার ইনিংসটি ৩ চার ও ২ ছক্কার। তিনে নামা পেরেরা ১৭ বলে ৩১ ও থারাঙ্গা ১৩ বলে ২৫ করে ফিরলেও শেষের ঝড় ধরে রাখেন দাসুন শানাকা। ৫ চার ও এক ছয়ে ১১ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন।
টি-টুয়েন্টিতে এত রান করার বা টপকানোর রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। তবে সিলেট স্টেডিয়ামের পরিসংখ্যান জেনে কিছুটা আশাবাদী হতে পারে স্বাগতিকরা। ২০১৪ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের করা ১৯০ রানের লক্ষ্য ১৩.৫ ওভারে টপকে চমকে দিয়েছিল নেদারল্যান্ড। পরে ব্যাটিং করা সহজ জেনেই টস জিতে আগে বোলিং নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এখন ব্যাটসম্যানরা নিজেদের কাজটা করতে পারলেই হয়।