উড়তে থাকা বার্সেলোনা পথ হারিয়ে বসেছে! মৌসুমে শুরুর ১২ ম্যাচে কেবল একটি ড্র করা দলটি পরপর দু’ম্যাচে হোঁচট খেয়ে পয়েন্ট হারাল ৪টি। গত ম্যাচে রেফারির ভুলে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে পয়েন্ট খোয়ানোর না হয় সান্ত্বনা ছিল, কিন্তু শনিবার সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করে বিপাকেই পড়েছে কাতালানরা।
টানা দুই ড্রয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে কাছে আসারও সুযোগ করে দিয়েছে বার্সা। লিগে ১৪ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে এখন শীর্ষেই ভালভার্দের দল। আর ১৩ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট রিয়ালের। জিদানের শিষ্যরা রাতে অ্যাটলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে জয় পেলে বার্সার সঙ্গে রিয়ালের পয়েন্ট ব্যবধান হয়ে যাবে ৬! অথচ এক সপ্তাহ আগেই ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকা রিয়ালকে কথা বলতে হচ্ছিল শিরোপা স্বপ্ন ধূসর হয়ে যাওয়া নিয়ে।
গত কয়েক ম্যাচ ধরে গোল খরায় ভোগা মেসিকে ন্যু ক্যাম্পে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক দেখা গেছে। ছয় মিনিটের সময় দুর্দান্ত ড্রিবলিংয়ে ছোটা বার্সা ফরোয়ার্ড যদি লক্ষ্য খুঁজে পেতেন তাতে গোলখরা মিটে যেতে পারতো তখনই।
মেসির পাশাপাশি বার্সা যখন গোলের জন্য মরিয়া, তখন অবশ্য চকিত আক্রমণে স্বাগতিক দর্শকদের স্তম্ভিত করে দেন সেল্টা ফরোয়ার্ড ইয়াগো আসপাস। ২০ মিনিটে ম্যাক্সি গোমেজের শট বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগেন ফিরিয়ে দিলে বল পান আসপাস। ফিরতি শটে জাল খুঁজে নিতে সমস্যা হয়নি লিভারপুলের সাবেক ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়া বার্সা সমতায় ফিরতে সময় নিয়েছে মাত্র দুই মিনিট। পাউলিনহোর দুর্দান্ত পাসে ম্যাচের ২২ মিনিটে কাতালানদের সমতায় ফেরান টানা ছয় ম্যাচ গোলহীন থাকা মেসি।
প্রথমার্ধে আরও একবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বার্সা। তবে ৩৭ মিনিটে পাউলিনহোর মাথা ছোঁয়া বল পাঞ্চ করে বিপদমুক্ত করেছেন সেল্টা গোলরক্ষক রুবেন ব্লাঙ্কো।
বিরতির পর ফিরে ম্যাচের ৬২ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সা। মেসির পাস থেকে বল পান জর্ডি আলবা। আলবার ক্রস খুঁজে নেয় লুইস সুয়ারেজকে। ডি-বক্সের ভেতর থেকে উরুগুয়ে ফরোয়ার্ডের শট জাল খুঁজে পেলে লিড নেয় স্বাগতিকরা।
সেল্টা পিছিয়ে পড়ে অস্বস্তি বাড়াতে থাকে স্বাগতিকদের। বার্সা রক্ষণকে বেশ যন্ত্রণায় ফেলে দেয় পাল্টা আক্রমণে। পরে ৭০ মিনিটে ম্যাক্সি গোমেজকে দিয়ে গোল করিয়ে প্রথম গোলের ঋণ শোধ করেন আসপাস। সেটাই আর শোধ করে ওঠা হয়নি বার্সার। মূল্য চোকাতে হয়েছে দুটি পয়েন্ট খুইয়ে।